জামাইয়ের হাতে খুন হলেন শাশুড়ি

পিবিএ,খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলায় মেয়ের জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে আহত তিনজনের মধ্যে শাশুড়ি সুমালা ত্রিপুরার (৪০) মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্য হয়। পরে ময়নাতদন্ত শেষে সন্ধ্যায় মরদেহ পানছড়ির নিজ বাড়িতে আনা হয়। এদিকে, একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত অপর দুইজনের মধ্যে শ্বশুর মশার ত্রিপুরার (৫০) অবস্থা সংকটাপন্ন। স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে মেয়ে ধানু ত্রিপুরা (২০)।
এর আগে, মঙ্গলবার (১১ জুন) রাতে পানছড়ির লতিবান ইউনিয়নের দুর্গম হেলাদুলা পাড়ায় পারিবারিক বিরোধের জেরে জামাতা তপন জ্যোতি ত্রিপুরা (২২) ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে আঘাত করে পালিয়ে যান। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই মশারা ত্রিপুরাকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। বুধবার (১২ জুন) দুপুরে ধানু ত্রিপুরা ও তার মা সুমালা ত্রিপুরাকেও চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। এর মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকালে সুমালা ত্রিপুরার মৃত্যু হয়।
আহত ধানু ত্রিপুরার ছোটবোন পনি ত্রিপুরা জানান, তিন বছর আগে পরিবারের অমতে ধানু ও তপন বিয়ে করেন। তারা দু’জনই পোশাক কারখানার শ্রমিক। বিয়ের পর থেকে তাদের সংসারে কলহ চলছিল। কলহের জেরে গত ১৭ এপ্রিল উভয়ের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়। কিন্তু, এরপরও তপন নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছিলেন। মঙ্গলবার রাতে বাসায় এসে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই তিনজনকে আঘাত করে পালিয়ে যান তপন।
পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল আলম জানান, এ ঘটনায় আহত ধানুর চাচাতো বোন তাপসী ত্রিপুরা বাদী হয়ে তপনের নাম উল্লেখ করে মারামারির একটি মামলা দায়ের করেছেন।
যেহেতু, আহত একজনের মৃত্যু হয়েছে তাই আদালতের মাধ্যমে এটি হত্যা মামলা হিসেবে রুজু করা হবে। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। শুক্রবার (১৪ জুন) স্থানীয় শশ্মানে সুমালা ত্রিপুরার দাহ সম্পন্ন করা হবে বলে জানা গেছে।
পিবিএ/বা.খ

আরও পড়ুন...