রাজন্য রুহানি,জামালপুর: জামালপুর-৫ সদর আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রেজাউল করিম রেজনু’র ঈগল প্রতীকের একটি নির্বাচনী প্রচারকেন্দ্রে ভাংচুরের ঘটনায় বিপুল (৩৫) নামে এক যুবককে মদ্যপ অবস্থায় আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২১ডিসেম্বর) মধ্যরাতে শহরের জিগাতলা বন্দেরবাড়ি এলাকায় নিজবাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। বিপুল মিয়া ওই এলাকার মজনু মিয়ার ছেলে।
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহব্বত কবির বলেন, ‘বুধবার রাতে ৯৯৯ এর মাধ্যমে পশ্চিম ফুলবাড়িয়া বউ বাজার এলাকায় একজন প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারকেন্দ্র ভাংচুরের খবর পাই। তখনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশের মোবাইল টিম। সেখানে প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার পর মধ্যরাতে মদ্যপ অবস্থায় বিপুল মিয়াকে নিজবাড়ি থেকে আটক করা হয়।
তিনি আরো বলেন, ‘বিপুল মিয়ার কোনো রাজনৈতিক পরিচয় আছে কিনা বা তিনি কোন প্রার্থীর সমর্থক, এসব বিষয়ে এখনো জানা যায়নি। আমরা বিপুল মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সকল তথ্য জানবো এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।’
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছানোয়ার হোসেন ছানু এ বিষয়ে বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থীর এটি একটি নাটক। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য তার নিজের লোক দিয়ে চেয়ার ভাঙচুর করে নৌকার প্রার্থীর ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করেছেন।’
এ বিষয়ে ঈগল প্রতীকের (স্বতন্ত্র) প্রার্থী রেজাউল করিম রেজনু মোবাইল ফোনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘পুলিশের হাতে আটক বিপুল মিয়া আমার কেন্দ্রকমিটির কেউ না। নৌকার কর্মীসমর্থকরা ঘটনা ঘটিয়ে এখন উল্টানোর চেষ্টা করছেন। আমার সমর্থকরা এরকম কাজ করতে পারেন না।’
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ মুঠোফোনে জানান, ‘নির্বাচনী প্রচারকেন্দ্র ভাংচুরের ঘটনা যদি ঘটেই থাকে তবে তা সুষ্পষ্ট নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন এবং নিন্দনীয়। যদি আওয়ামী লীগের কেউ এটি করে থাকে, যদি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অভিযোগ আমাদের দিকে থাকে, তবে তদন্ত সাপেক্ষে আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবো।’