পিবিএ,জামালপুর : দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে সরকারি ত্রাণ কার্যক্রম, রেশনকার্ড ও খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন।
সোমবার দুপুর ১২টায় জামালপুর শহরের স্টেশন রোডের জেলা বিএনপির কার্যালয়ে সংবাদ সন্মেলনে এসব অভিযোগ করেন তিনি।
ত্রাণ কার্যক্রমে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তোলে তিনি আরও বলেন, সরকারি বরাদ্ধের চাল বিতরণের উদ্দ্যেশে কোনো কোনো জনপ্রতিনিধি নিজ বাড়িতে উঠিয়েছেন। এছাড়াও সদর উপজেলার নরুন্দি, তুলশির চর, শাহবাজপুর ও শরিফপুরে সরকারি বরাদ্ধের চাল আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে। প্রশাসনের উদ্ধারে এর প্রমাণও মিলেছে। ইসলামপুরে পৌরসভার বরাদ্ধকৃত চাল নিয়ম বহির্ভূতভাবে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান উত্তোলন করেছেন। সারা জেলায় এরকম অসংখ্য অনিয়মের ঘটনা ঘটেই চলছে। সব অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
তিনি দলমত নির্বিশেষে অসহারয় কর্মহীন মানুষ যেন ত্রানণ সহায়তা পায় তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি।
সামাজিক ঐক্যের তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, এই মহাদুর্যোগ মোকাবেলায় সরকারি ত্রাণ কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি। আমরা দলগত ও ব্যক্তিগতভাবে সারা জেলায় সচেতনতায় লিফলেট বিতরণ, সংক্রমণরোধে ওষুধ স্প্রেসহ ৫০ হাজার অসহায় কর্মহীন পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছি। অথচ কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম মিথ্যা তথ্য তুলে ধরে বলছেন, করোনার এই দুর্যোগে আওয়ামীলীগ ছাড়া কোনো রাজনৈতিক দল অসহায় মানুষের পাশে নেই। এই মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
সংবাদ সন্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম নবী, সাংগঠনিক সম্পাদক সজিব খান, দফতর সম্পাদক গোলাম রব্বানী, সহ-দফতর সম্পাদক গাউসুল আজম শাহীন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম কর্ণেল ও শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক বাবু জীবন কৃষ্ণ বসাক।
এর আগে গত ৭মে একই দাবিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্মারকলিপি দিয়েছে জেলা বিএনপি।
পিবিএ/রাজন্য রুহানি/এমএ