বাবার হাত ধরে কারাগার থেকে বের হলেন মিন্নি (ভিডিওসহ)

পিবিএ,বরগুনা: বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির হাইকোর্ট থেকে জামিনাদেশ পাওয়ার পর বরগুনা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী থেকে আসামি হওয়া তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি। আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কারাগার থেকে মুক্তি পান মিন্নি।এ সময় কারা ফটকে মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হক কিশোর, ভাই আবদুল মুহিত কাফি, তার আইনজীবী মাহবুবুল বারী আসলাম এবং অ্যাডভোকেট মোস্তফা কাদের উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বেলা ১২টার দিকে জামিনের আদেশের কপি বরগুনার আদালতে পৌঁছায়। মিন্নির আইনজীবী মাহবুবুল বারী আসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘মিন্নির হাইকোর্টের জামিনের আদেশের স্বাক্ষরিত কপি আজ বেলা ১২টার দিকে বরগুনার আদালতে এসে পৌঁছেছে। এখন আমরা মিন্নির পক্ষে বেলবন্ড (জামিননামা) দাখিলের অনুরোধ করবো। আদালতের বিচারক বেলবন্ড গ্রহণ করে কারা কর্তৃপক্ষকে রিলিজ অর্ডার পাঠাবেন। আমরা আশা করছি, সকল দাফতরিক কাজ শেষ করে আজকের মধ্যেই মিন্নিকে মুক্ত করা সম্ভব হবে।

এর আগে রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় তার স্ত্রী মিন্নিকে সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে করা রাষ্ট্রপক্ষের আপিল আবেদনের ওপর নো-অর্ডার (কোনও আদেশ নয়) দেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত। এর ফলে মিন্নির জামিনের মুক্তিতে আর কোনও বাধা নেই বলে জানান আইনজীবীরা। চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদালত এ আদেশ দেন। অন্যদিকে মিন্নিকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আটকাতে ফের আপিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা।


প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে রিফাত শরীফকে। স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি হামলাকারীদের সঙ্গে লড়াই করেও তাদের দমাতে পারেননি। গুরুতর আহত রিফাতকে ওইদিন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ ও পাঁচ-ছয় জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বরগুনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পরে ১৬ জুলাই সকাল পৌনে ১০টার দিকে মিন্নিকে তার বাবার বাড়ি বরগুনা পৌর শহরের নয়াকাটা-মাইঠা এলাকা থেকে পুলিশ লাইনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসা হয়। এরপর দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাত ৯টায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। পরদিন (১৭ জুলাই) মিন্নিকে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরপর কয়েক দফা আবেদন জানালেও নিম্ন আদালতে জামিন মেলেনি মিন্নির। পরে একই মামলায় গত ১৮ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় জামিন চেয়ে মিন্নি হাইকোর্টে আবেদন করেন।

পিবিএ/ইকে

আরও পড়ুন...