চাকরিচ্যুত সেনা সদস্যদের অবরোধ

জাহাঙ্গীর গেট সড়ক এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক

প্রায় দুই ঘণ্টা অবরোধের পর খুলে দেওয়া হলো রাজধানীর জাহাঙ্গীর গেট এলাকায় সড়ক। চাকরিচ্যুত ও বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বেলা সোয়া ১১টা থেকে ওই সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এ সময় ওই সড়ক ও আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজট হয়। একপাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

পরে ১২টা ২৫ মিনিটের দিকে মহাখালী থেকে জাহাঙ্গীর গেট অভিমুখের সড়কে সীমিত পরিসরে যান চলাচল করতে দেওয়া হয়। আর বেলা ১টা নাগাদ ওই এলাকায় সড়ক যান চলাচলের জন্য পুরো খুলে দেওয়া হয়।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে শৃঙ্খলাপরিপন্থী বিভিন্ন কাজে জড়ানোর অভিযোগে চাকরিচ্যুত ও বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের প্ল্যাটফর্ম ‘সহযোদ্ধা’-এর ব্যানারে বিক্ষোভকারীরা সকাল ৮টা থেকে জাহাঙ্গীর গেটের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। বেলা সোয়া ১১টার দিকে তাঁরা সড়কে বসে পড়ে বিক্ষোভ করেন।

তাদের তিন দফা দাবি হলো—চাকরিচ্যুতির সময় থেকে এখন পর্যন্ত সম্পূর্ণ বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাসহ চাকরি পুনর্বহাল করতে হবে। যদি কোনো সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যের চাকরি পুনর্বহাল করা সম্ভব না হয়, তাহলে তাদের সরকারি সকল সুযোগ-সুবিধাসহ সম্পূর্ণ পেনশনের আওতাভুক্ত করতে হবে এবং যেসব আইনি কাঠামো ও একতরফা বিচার ব্যবস্থার প্রয়োগে শত শত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, সেই বিচার ব্যবস্থা সংস্কার করতে হবে।

বিক্ষোভের ফলে জাহাঙ্গীর গেট, মহাখালী, বনানী, তেজগাঁও, বিজয় সরণিসহ আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। চরম ভোগান্তিতে পড়েন মানুষ। বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া বিদেশগামী অনেক যাত্রীও এ সময় যানজটে আটকা পড়েন।

সড়কে আটকে পড়া বিক্ষুব্ধ যাত্রী ও চালকদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের কয়েক দফায় বাগ্‌বিতণ্ডা হতে দেখা যায়।

এদিকে সশস্ত্র বাহিনীর উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের একটি প্রতিনিধি দলের বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে সহযোদ্ধার প্রধান সমন্বয়ক মো. নাঈমুল ইসলাম বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর পক্ষ থেকে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে একটি পর্ষদ গঠন করে দাবিগুলোর বিষয়ে আলাপ-আলোচনার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। পরে বিক্ষোভকারীরা সড়কের একপাশে সরে যান।

আরও পড়ুন...