পিবিএ ডেস্ক: জিনগত পরিবর্তনের মাধ্যমে এইডস প্রতিরোধী করে তোলা চীনা দুই যমজ শিশু মানসিক ভাবেও ‘অতি শক্তিধর’ বলে দাবি করা হয়েছে। লুলু এবং নানা নামের এই দুই শিশুর অতিমাত্রার মানসিক সক্ষমতা বিশ্বে জিনগত পরিবর্তনের মাধ্যমে মানব সন্তান লাভের ক্ষেত্রে ‘অস্ত্র প্রতিযোগিতার’ মতো পরিস্থিতি ডেকে আনতে পারে বলে আশংকা ব্যক্ত করা হয়েছে।
জিনগত পরিবর্তন বা সম্পাদনার মধ্য দিয়ে সিসিআর-৫ নামে ক্ষতিকর একটি জিনকে লুলু ও নানার জিন থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। এতে দুই যমজ শিশু এইচআইভি প্রতিরোধক ক্ষমতা লাভের পাশাপাশি মানসিক ভাবেও অতি শক্তিধর হয়ে উঠেছে। মায়ের পেটে থাকাকালে তাদের জিনে সম্পাদনার নজিরবিহীন কাজটি করেছিলেন অধ্যাপক হি জিয়ানকুই। অবশ্য, এই ধরণের বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই নিষিদ্ধ।
এই একই জিনে পরিবর্তনের মাধ্যমে মানব ও ইঁদুরের মধ্যে প্রজ্ঞার ক্ষেত্র উন্নয়ন ঘটে পাশাপাশি প্রশিক্ষণ এবং স্মৃতি ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য বিকাশ ঘটে। এমআইটি টেকনোলজি রিভিউ নামের সাময়িকীকে লস অ্যাঞ্জেলসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নায়ুজীব বিজ্ঞানী আলিকো সিলভা বলেন, হ্যা জিনে এ ধরণের পরিবর্তন মস্তিষ্কের ওপর প্রভাব ফেলে। অবশ্য, এ প্রভাবের মাত্রা কি হবে সে ধরণের কোনো নজির বিজ্ঞান জগতে নেই বলেও জানান তিনি।
শেনজেনের সাদার্ন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির গবেষক অধ্যাপক হি গত নভেম্বরে বিশ্বের সংবাদ মাধ্যমে শিরোনামে উঠে এসেছিলেন। মায়ের পেটের সন্তানের জিন সম্পাদনার দাবি করে এ ভাবে তিনি সংবাদ শিরোনাম হয়ে ওঠেন। অবশ্য, এ জাতীয় বিজ্ঞান তৎপরতার মাধ্যমে চীনের বিজ্ঞান নীতি লঙ্ঘন করেছেন তিনি। চীনা কর্তৃপক্ষ সে সময় এমন দাবি করেছিল। চীনা কর্তৃপক্ষের অগোচরে সম্পন্ন এ তৎপরতার জন্য অধ্যাপককে শাস্তি পেতে হবে বলেও জানানো হয়েছিল।-পার্সটুডে
পিবিএ/এমটি/জেডআই