জুমার নামাজ যেসব শর্ত পূরণে সহিহ হবে

জুমার দিন বা শুক্রবার সপ্তাহের সেরা মহিমান্বিত দিন। এদিনকে বলা হয় ‘ইয়াওমুল জুমা’। পবিত্র আল-কোরআনে জুমা নামে একটি সুরা রয়েছে। আল্লাহতায়ালা জগৎ সৃষ্টির পূর্ণতা দান করেছেন এই দিনে। তাই অন্যান্য দিনের তুলনায় এ দিনের মর্যাদা বেশি। নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী যেমন এ নামাজ পড়া যাবে না, আবার কেউ পড়লেও তা আদায় হবে না।

জুমার নামাজ সহিহ হওয়ার অন্যতম শর্ত হচ্ছে নামাজ পড়ার অনুমতি থাকা। যাতে সব মুসলমান বিনা বাঁধায় স্বাধীনভাবে একত্রিত হয়ে নামাজ আদায় করতে পারে। এছাড়া যেসব শর্ত না থাকলে জুমার নামাজ সহিহ হবে না। তা হলো-

ওয়াক্ত বা নির্ধারিত সময়
জুমার নামাজের জন্য ওয়াক্ত বা সময় জরুরি। এ নামাজ জোহরের ওয়াক্তে পড়তে হয়। সুতরাং কেউ চাইলে জোহরের ওয়াক্তের আগে কিংবা পরে এ নামাজ পড়লে তা আদায় হবে না। তাছাড়া জুমার নামাজ কাজা পড়ার তথা জোহরের ওয়াক্তের আগে/পরে পড়ার কোনো নিয়ম নেই। জুমার নামাজ সহিহ হওয়ার জন্য জোহরের ওয়াক্তেই আদায় করতে হবে। একান্ত যদি কেউ জুমার নামাজ পড়তে না পারে তবে তাকে জোহর নামাজ আদায় করতে হবে।

নামাজের আগে খুতবা
জুমার জন্য অন্যতম শর্ত হচ্ছে নামাজের আগে খুতবা দেয়া। খুতবা ছাড়া নামাজ পড়লে বা নামাজের পর খুতবা পড়লে জুমার নামাজ আদায় হবে না। সুতরাং জুমার ২ রাকাআত ফরজ নামাজ পড়ার আগে মুয়াজ্জিনের আজানের পর ইমাম দুইটি খুতবা দেবেন। এ খুতবা জুমার নামাজ সহিহ হওয়ার জন্য অন্যতম শর্ত।

জামাত হওয়া
জুমার নামাজ একাকি আদায় করা যায় না। জুমার নামাজের জন্য শর্তসমূহের মধ্যে অন্যতম একটি জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় করা। জুমার জামাত হওয়ার জন্য খুতবা-এর শুরু থেকে ইমাম-মুয়াজ্জিন ছাড়া কমপক্ষে ৩ জন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ জামাত শেষ হওয়া পর্যন্ত উপস্থিত থাকতে হবে।

এছাড়াও জুমার নামাজ সহিহ হওয়ার জন্য আরো তিনটি শর্ত রয়েছে-
১. স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র হওয়া।
২. শহর বা বড় গ্রাম হওয়া।
৩. মুসলিম শাসক বা তার প্রতিনিধি উপস্থিত থাকা।

সুতরাং মুসলিম উম্মাহর উচিত, জুমার নামাজ বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য যথাযথ সময়, দুইটি খুতবাহ ও যথাযথ উপস্থিতিসহ খুতবা ও জামাত অনুষ্ঠিত করা। আর তাতেই বিশুদ্ধ হবে জুমার নামাজ।

আরও পড়ুন...