পিবিএ,ঢাকা: করোনার পরীক্ষা ও চিকিৎসাকে কেন্দ্র করে স্বাস্থ্য খাতে সীমাহীন চুরি, দুর্নীতি, প্রতারণা, জালিয়াতি ও অব্যবস্থাপনা গোটা স্বাস্থ্য ব্যবস্থার লাগামহীন নৈরাজ্যকেই জনগনের সামনে নিয়ে এসেছে। ‘জেকেজি-রিজেন্ট’ প্রমান করেছে স্বাস্থ্য খাত হরিলুটের ক্ষেত্র বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।
তিনি বলেন, বর্তমান অবস্থায় স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতিবাজদের আইনের আওতায় আনতে না পারলে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারলে দেশ আরও বড় বিপদের সম্মুখীন হবে।
সোমবার গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সিংহপুরুষ জাতীয় নেতা মশিউর রহমান যাদু মিয়ার ৯৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ আয়োজিত অনলাইন আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দুর্নীতি আর প্রতারণার এসব ঘটনা দেশের মানুষকে চরমভাবে হতাশ ও বিক্ষুব্ধ করে তুলছে। যে সমাজ ও রাষ্ট্র রাজনীতিতে সৎ ও মেধাবীদের মূল্যায়ন না করে অর্থকে সর্বশেষ যোগ্যতার মাপকাঠি হিসাবে ধারণ করে, সেই সমাজে মামুন, শাহেদ, পাপিয়া, জিকে শামিম, সাবরিনাদের জন্ম রোধ করা সম্ভব নয়। এখনই সময় রাজনীতিকে রাজনীতিবিদের হাতে ফিরিয়ে আনার ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম শুরু করা। মশিউর রহমান যাদু মিয়ার প্রয়োজনীয়তা এখানেই পরিলক্ষিত হয়।
তিনি আরো বলেন, আমাদের রাষ্ট্রে এবং সমাজে রাজনৈতিক প্রশ্নের জটসমূহ যখন জটিল থেকে জটিল আকার ধারন করতে থাকে, যাদু মিয়া সম্পর্কিত বিতর্কও নতুন নতুন মাত্রা অর্জন করতে থাকে। রাজনীতিতে একটি অংশ তাঁকে একেবারে খারিজ করতে পারলে বেঁচে যান মনে হয়। আর অন্য অংশটি খুব বেশী স্মরণের প্রয়োজনও বোধ করে না। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় যে দলটিকে প্রতিষ্ঠিত করেছে, নিজের দলের প্রতীক তুলে দিয়েছেন তাদের হয়তো মনেই নেই মশিউর রহমান যাদু মিয়া নামে কেউ জড়িত ছিলেন তাদের জন্মের বেদনার সাথে।
আলোচনায় অংশগ্রহন করেন জাতীয় কৃষক-শ্রমিক মুক্তি আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. মহসিন ভুইয়া, ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, যুগ্ম মহাসচিব মো. নুরুল আমান চৌধুরী টিটো, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া, মহানগর সভাপতি মো. শহীদুননবী ডাবলু প্রমুখ।
পিবিএ/এসডি