পিবিএ আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রায় চার মাস ধরে বেতন বকেয়া জেট এয়ারওয়েজের পাইলট-কর্মকর্তাদের। শহুরে ব্যয়বহুল জীবনযাত্রার জন্য অশনি সংকেত। বেতন-ভাতা না পাওয়া পাইলটরা এখন জানাতে শুরু করেছেন তারা অসুস্থ, ফ্লাইট অপারেট করতে পারবেন না।
এতোদিন জোড়াতালি দিয়ে চললেও এবার সেই অসুস্থতার জেরে আকাশযাত্রায় ভারতের সবচেয়ে বড় পূর্ণ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান জেট এয়ারওয়েজের অন্তত ১৪টি ফ্লাইট বাতিল হয়ে গেছে বলে সূত্রের বরাত দিয়ে জানাচ্ছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম।
রোববার (২ ডিসেম্বর) বিভিন্ন দেশে যাওয়ার জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটগুলো বাতিল হয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, তীব্র নগদ অর্থ সংকটের কারণে গত আগস্ট থেকে বড় এ প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তা, পাইলট ও ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন দেওয়া হচ্ছে না। এ কারণে দিন দিন জেট এয়ারওয়েজের সার্ভিসেরও ক্ষতি হচ্ছে।
এদিকে, গত সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠানটির স্টাফদের অংশিকভাবে বেতন দেওয়া হয়েছিল। এরপর অক্টোবর এবং নভেম্বরের পুরো বেতন তাদেরও বকেয়া রয়ে গেছে।
জানা গেছে, রোববার যেসব ফ্লাইট বাতিল হয়েছে, সেসবের পাইলটরা অসুস্থ বলে কর্তৃপক্ষকে রিপোর্ট করেছেন। তারা কয়েক মাস ধরে বেতন না পেয়ে প্রতিবাদও চালিয়ে যাচ্ছেন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এছাড়া এ সমস্যা নিয়ে তারা দেশটির জাতীয় এভিয়েটরস গিল্ডকে (এনএজি) অবগতও করেছেন।
জেট এয়ারওয়েজের পাইলটদের নিজস্ব প্রতিষ্ঠান এনএজি। এটি জেট এয়ারওয়েজের এক হাজার পাইলটের প্রতিনিধিত্ব করে।
তবে জেট এয়ারওয়েজ বলছে, ফ্লাইটগুলো বাতিল হওয়ায় একটি অপ্রত্যাশিত কর্মক্ষম পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তবে সেটা পাইলটদের প্রতিবাদের কারণে নয়।
দেশের আন্তর্জাতিক পরিবহন খাতের বৃহত্তম এ প্রতিষ্ঠানটি এও বলছে, ফ্লাইট বাতিল হওয়ার বিষয়টি মেসেজের মাধ্যমে যাত্রীদের সঠিক সময়ে অবগত করা হয়েছে।
এদিকে, অন্য একটি সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম বলছে, জেট এয়ারওয়েজের কিছু পাইলট প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান নরেশ গয়েলকে একটি রিপোর্টে লিখেছেন- এভাবে বেতন দেওয়া হলে তারা কাজ করতে অনিচ্ছুক।