পিবিএ ডেস্ক: পার্কে বসে, ভ্রমনের সময়, হাঁটতে হাঁটতে কিংবা গল্প করার ফাঁকে চীনাবাদাম খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। খোসাসহ ভাজা, খোসা ছাড়া ভাজা, লবণ দেয়া কিংবা কাঁচা নানা ভাবেই এটি খাওয়া যায়। মাটির নীচে হয় বলে এটাকে চীনাবাদাম বলা হয়্ । এছাড়া বিভিন্ন ভাষায় এর ভিন্ন ভিন্ন নাম আছে। চীনাবাদাম বিভিন্ন খাবার তৈরিতেও ব্যবহৃত হয়।
চীনাবাদামে নানা ধরনের পুষ্টি গুণ রয়েছে। এটি প্রোটিন, ম্যাঙ্গানিজ, নিয়াসিন, ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন ই, থায়ামিন, ফসফরাস, বায়োটিন এবং ম্যাগনেশিয়ামের ভাল উৎস।
চীনাবাদাম প্রচুর পরিমাণে মোনোস্যাচুরেটেড এবং বিভিন্ন ধরনের ফ্যাট রয়েছে যা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। নিয়মিত এই বাদাম খেলে হৃদরোগজনিত জটিলতা কমে।
চীনাবাদামে প্রচুর পরিমাণে বেটা সিটোস্ট্রেরল উপাদান রয়েছে যা ক্যান্সার প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত চীনাবাদাম খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি শতকরা ২১ ভাগ কমে যায়।
চীনাবাদামে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফলিক অ্যাসিড থাকায় গর্ভাবস্থায় এটি খেলে শিশুর জন্মজনিত ত্রুটি প্রতিরোধে করা যায়। এ কারণে গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন ৪০০ গ্রাম চীনাবাদাম খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
চীনাবাদামে মোনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকায় এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
চীনাবাদামে উপস্থিত ট্রিপটোফেন হতাশা কমাতে সাহায্য করে।
চীনাবাদামের উপকারিতা পেতে খোসাসুদ্ধ বাদাম কেনার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, প্যাকেটজাত বাদামে অনেক ধরনের রাসায়নিক দেয়া থাকে। এ কারণে কাঁচা বাদাম কিনে সারাবছর এয়ারটাইট প্লাস্টিক কন্টেইনারে সংরক্ষণের কথা বলেছেন তারা। সূত্র:সংগৃহীত।
পিবিএ/হক