পিবিএ ডেস্ক: কোনও মেয়েকে মনে ধরলে তাকে আগ বাড়িয়ে মনের কথা বলে ফেলবেন না যেন। একটু রয়ে সয়ে এগোন। কয়েকটা দিন সময় নিন। বিচার করুন মেয়েটি কেমন। সত্যি বলতে কী, মেয়েদের কয়েকটি টাইপ আছে। আপাত দেখে সবসময় তা বোঝা যায় না। ভালো করে জানতে হয় তাদের ধরন। জানতে হয় তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড, প্রফেশন, অ্যাটিটিউড, ব্যবহার, স্বভাব। আর যে মেয়ে যেমন, তার পছন্দও হয় ঠিক তেমন ধাঁচের ছেলেকেই। তাই যে মেয়েকে মনে ধরেছে, আগে জানুন তার টাইপ। হয়ে উঠুন তার মনের মতো নায়ক। দরকার হলে নিজের মধ্যেও কিছু পরিবর্তন আনুন। তবেই কিন্তু ইমপ্রেস করতেন পারবেন তাকে।
শান্ত ও সুশীলা : যে মেয়ে শান্তশিষ্ট, তার পছন্দ হাসিমুখ ছেলে। যে তাকে কথায় কথায় হাসাবে। এই মেয়ে কিন্তু আচারে ব্যবহারে খুব চুপচাপ। ফলত, সে অতি শান্ত ছেলেকে কখনওই পছন্দ করে না। আবার দুরন্ত ছেলেও তার না পছন্দ। মাঝামাঝির ব্যালেন্স চায়। সে চায় এমন কাউকে, যার অন্যের মুখে হাসি ফোটানোর ক্ষমতা আছে।
দুরন্ত : এই মেয়ে প্রেম করে দুরন্ত ছেলের সঙ্গেই। কিছুদিন যেতেই শুরু হয় ফাটাফাটি ঝগড়াঝাটি। এ বলে আমায় দেখ, ও বলে আমায়। তাই ক্লান্ত দুরন্তরা দুটি আলাদা পথে হাঁটতে শুরু করে। অর্থাৎ বিচ্ছেদ। দুরন্ত মেয়েটি ঠিক করে অনেক হয়েছে মারামারি লাঠালাঠি, এবার বিয়ে করা চাই তাকেই যে সহনশীল, শান্ত। অর্থাৎ, অতি দুরন্ত মেয়ে কিন্তু শেষ পর্যন্ত বেছে নেয় একজন শান্ত ছেলেকেই।
ক্যারিয়ারিস্ট : ক্যারিয়ারিস্ট মেয়ে হলে একদিক থেকে রেহাই। এই মেয়ে “বিয়ে করো বিয়ে করো” বলো ঘ্যানঘ্যান করে না। বরং নিজেই বিয়ে থেকে শতহস্ত দূরে থাকে। সাধারণত নিজের কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকে। চায় প্রেমিকটিও তার মতোই ব্যস্ত মানুষ হোক। এই মেয়ে একেবারেই ছেলেমানুষ নয়। সে অত্যন্ত বুদ্ধিমতী ও হাইফাই। সুতরাং, এই মেয়ের সঙ্গে ম্যাচ করতে গেলে নিজেরও থাকতে হবে দারুণ চাকরি, দারুণ জীবনযাপন।
ছেলেমানুষ : প্রথম প্রথম প্রেমিকের বাবাসুলভ ভাব দেখে বিরক্ত হবে ঠিকই, কিন্তু একটা সময় পর সে বুঝতে শিখবে, তার মতো অবুঝের জন্য বাবাসুলভ প্রেমিকই সঠিক বাছাই। তা না হলে, জীবনটা ছেলেমানুষির খেসারত দিতে দিতেই কেটে যায়।
হটি ও নটি : খুব সাবধানে এগিয়ে যেতে হবে। এই মেয়ে কিন্তু একসঙ্গে একাধিক প্রেমিককে বশ করে রাখার ক্ষমতা রাখে। মিষ্টি হাসি, চতুর কথায় যদি খেলে যেতে পারেন, বোল্ড হলে হতেও পারে এই মেয়ে। পালটে যেতে পারে আমুল। এই ধরনের মেয়ের মধ্যে কিন্তু এক আশ্চর্য জিনিস থাকে। তা আর অন্য কারোর মধ্যে থাকে না। এই মেয়ে যাকে সত্যি সত্যি ভালোবাসে, তাকে সত্যিই মন থেকে চায়। সেই ভালোবাসার মানুষকে পেলে নিজেকে পালটে নিতেও তার বেশি সময় লাগে না।
উচ্চবংশীয় : সিনেমাতে দেখায় ঠিক, কিন্তু উচ্চবংশীয় মেয়েরা খুব একটা বখাটে ছেলের প্রেমে পড়ে না। এরা খুব চুজ়ি। সচরাচর সম্বন্ধ করেই বিয়ে করে। তাদের নিজস্ব জগৎ থাকে। নিজের লেখাপড়া, বন্ধুবান্ধব থাকে। সেই সব নিয়েই তারা ব্যস্ত থাকে। সময় হলে বিয়ে করে নেয়। কিন্তু পরিবারের কথা মতো। পরিবারের মানহানি হবে, এমন কাজ তারা করে না।
পিবিএ/বিএইচ