পিবিএ,ডেস্ক: ক্যান্সার শরীরে একবার বাসা বেঁধে ফেললে রোগীকে বাঁচিয়ে ফেরানোর সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে যায়। ক্যান্সার হয়ে গেলে আরো অনেক রোগ চেপে বসে শরীরে। তবে কেউ যদি প্রাথমিক পর্যায়েই এই মারণব্যাধি শনাক্ত করে ফেলতে পারে, তার বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেকখানিই উজ্জ্বল থাকে।
কিন্তু ক্যান্সারের লক্ষণ বোঝার ওপায় কী? স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইট দিয়েছে কিছু লক্ষণ। এই উপসর্গগুলো দেখা দিলে ঘাবড়ে না গিয়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে হবে রোগী ও স্বজনদের।
দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি : দীর্ঘ সময় ধরে ক্লান্তিবোধ করলে অথবা অবসাদে ভোগলে সেটা অনেক রোগেরই কারণ হতে পারে, হতে পারে ক্যান্সারও। মলাশয়ের ক্যান্সার বা রক্তে ক্যান্সার হলে সাধারণত এমন উপসর্গ দেখা যায়। তাই, স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে বেশি ক্লান্তিবোধ করলে অথবা দীর্ঘসময় ধরে ক্লান্ত থাকলে অবিলম্বে চিকিৎসা নিতে হবে।
আকস্মিক ওজন হ্রাস : কোনো কারণ ছাড়া হঠাৎ করেই দ্রুতগতিতে যদি ওজন কমতে থাকে, তবে ভাবনার কারণ আছে। অনেক ক্যান্সারই সাধারণত হুট করে ওজন কমিয়ে ফেলে। তাই শরীরের ওজনের দিকে খেয়াল রাখতে হবে সবসময়। প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার শনাক্ত করা গেলে চিকিৎসাসেবায় রোগীকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব।
দীর্ঘদিনের ব্যথা : দৃশ্যত কোনো কারণ (যেমন জখম-আঘাত) ছাড়া যদি দীর্ঘদিন ধরে শরীরের কোনো স্থানে ব্যথা থাকে এবং তাতে ওষুধও কাজ না করলে এ নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কারণ আছে। শরীরের কোনো জায়গায় ব্যথা করছে তার ওপর নির্ভর করছে রোগী ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত না কি ডিম্বাশয়, পায়ুপথ বা মলাশয়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত।
অস্বাভাবিক মাংসপিণ্ড : শরীরের কোনো অংশে অস্বাভাবিক কোনো মাংসপিণ্ড দেখা গেলে অথবা মাংস জমাট হতে দেখলে কিংবা এ ধরনের পরিবর্তন বুঝতে পারলে তবে এটা তেমন কিছুরই লক্ষণ, যা আপনার অনাকাক্সিক্ষত। এমনকি শরীরে কোনো পরিবর্তন স্বাভাবিক মনে হলেও পর্যবেক্ষণ করতে হবে। এরপর অন্তত চিকিৎসককে জানাতে হবে।
ঘন ঘন জ্বর : ক্যান্সার শরীরে জেঁকে বসলে স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। এতে ঘন ঘন জ্বর দেখা দেয়। দুর্ভাবনার ব্যাপার হলো, কিছু ক্যান্সারের শেষ পর্যায়েরই উপসর্গ ঘন ঘন জ্বর। তবে ব্ল্যাড ক্যান্সারসহ এ ধরনের কিছু ক্যান্সারের প্রাথমিক পর্যায়েই ঘন ঘন জ্বর দেখা দেয় শরীরে।
ত্বকে পরিবর্তন : অনেকেই ত্বকের ক্যান্সারের ব্যাপারে সচেতন নন। ত্বকে অস্বাভাবিক পরিবর্তনই এমন ক্যান্সার শনাক্ত করার সহজ উপায়। তাই ত্বকে অতিরিক্ত তিল বা ফ্রিকেল অথবা আঁচিলের দিকে খেয়াল করুন। যদি এর রঙ, আকারে অস্বাভাবিক পরিবর্তন দেখা যায়, তবে অবিলম্বে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। ত্বক লালচে হয়ে যাওয়া, ফস্কুড়ি পড়ে যাওয়া এবং রক্তক্ষরণও অন্যান্য ক্যান্সারের উপসর্গ।
দীর্ঘস্থায়ী কাশি : যদি দেখা যায়ওষুধ সেবনের পরও কাশি সারছেই না, তবে শীতকালীন কাশির চেয়েও এটা বেশি কিছু ধরে নিতে হবে। আর এই কাশির কারণে যদি আপনার বুক, পিঠ বা কাঁধে ব্যথা করলে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
মল-মূত্রত্যাগের অভ্যাসে পরিবর্তন : যদি মল বা মূত্রত্যাগের জন্য ঘন ঘন শৌচাগারে যেতে হয়, তবে এখানে ক্যান্সার নিয়ে ভাবনার কারণ আছে। ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্যও মলাশয়ের ক্যান্সারের লক্ষণ। মূত্রত্যাগের সময় অন্ত্রে ব্যথা বা রক্তক্ষরণ মূত্রথলির ক্যান্সারের উপসর্গ। ইন্টারনেট
পিবিএ/এফএস