পিবিএ ডেস্কঃ গরম পড়তে না পড়তেই কোনও কিছুতেই যেন স্বস্তি নেই। না খেয়ে না ঘুমিয়ে। সেই সঙ্গে আবহাওয়া দফতর সূত্রে পূর্বাভাস, এবছর গরম নাকি রেকর্ড গড়বে। ভাবছেন তো, সব এনার্জিই বুঝি ঘাম হয়ে বেরিয়ে যাবে। না, আশার কথা শোনাচ্ছেন শরীর বিজ্ঞানীরা। জানাচ্ছেন, রোদ যত চড়া হবে ততই বাড়বে যৌন তৃপ্তি। যৌনতার সঙ্গে ‘হট’ শব্দটি ওতপ্রোতভাবে যুক্ত। তা সে শরীরী উষ্ণতা হোক বা পরিবেশের। তাই মে, জুন… বাড়তে থাকা পরিবেশের তাপমাত্রাই যৌন রসায়নে অনুঘটক হিসাবে কাজ করে বলে দাবি করেছেন শরীরবিদরা। একাধিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে উপভোগ্য শীতের চেয়েও নাকি ঘামে ভেজা শরীরে যৌন মিলন অনেক বেশি সুখকর। আর এর প্রধান হোতা মেলাটোনিন। রোদ যত চড়া হয় মস্তিষ্কের পিনিয়াল গ্ল্যান্ড থেকে ততই কমতে থাকে মেলাটোনিন হরমোনের ক্ষরণ। এই পরিবেশেই বাড়তে থাকে যৌন হরমোনের ক্ষরণ। যা আদতে যৌন মিলনের ইচ্ছাকে বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়। শুধুই কামনা সৃষ্টি নয়, মিলনকে দীর্ঘস্থায়ী করার পাশাপাশি উপভোগ্যও করে তোলে।
যৌন ক্ষুধা বাড়ায়ঃ আমেরিকার যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মারথা তারা লির গবেষণায় যৌনসুখের কারণ হিসাবে উঠে এসেছে ভিটামিন-ডি’র ভূমিকা। দেখা গিয়েছে ভিটামিন-ডি কেবল হাড়ের গঠন মজবুত করে না, সেই সঙ্গে যৌনতাবর্ধকও। এখানেও রয়েছে রোদের ভূমিকা। সূর্যালোকের উপস্থিতিতে ত্বকে ভিটামিন-ডি সংশ্লেষ হয়। অস্ট্রেলিয়ার মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি অফ গ্রাজের চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পুরুষের প্রতি মিলিলিটার রক্তে ভিটামিন-ডি’র উপস্থিতি যত বাড়ে ততই বেশি পরিমাণ ক্ষরণ হতে থাকে যৌন হরমোন টেস্টোস্টেরন। যা পুরুষের যৌন ক্ষুধা বাড়িয়ে দেয়। শুধু পুরুষ নয়। ভিটামিন-ডি’র প্রভাবে মহিলাদের শরীরেও ইস্ট্রোজেনের ক্ষরণ বেশি হয়। যা কামোন্মাদনা বাড়ায়।
হরমোনের যৌনতা বাড়ায়ঃ একইরকম প্রভাব রয়েছে সেরোটোনিন হরমোনের। উজ্জ্বল আলোয় মস্তিষ্ক থেকে সেরোটোনিন হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এই হরমোনও যৌনতা ও গ্ল্যামার বর্ধক। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, গ্রীষ্মে ফর্সা থাকতে সানস্ক্রিন ব্যবহার না করাই শ্রেয়। সূর্যালোকের স্পর্শে এলে তবেই ত্বকে ভিটামিন-ডি তৈরি হবে, যা আপনার যৌন জীবনকে করে তুলবে তরতাজা। আর স্বল্পবাস, তা কেবল দৃষ্টিজাত যৌনতার সৃষ্টি করে না। শরীরের যত বেশি অংশে সূর্যালোক লাগবে ততই যৌনতা বর্ধক একাধিক শর্ত সক্রিয় হবে। আর গ্রীষ্ম যৌনসুখে ভরে উঠবে।
পিবিএ/এমআর