পিবিএ ডেস্কঃ আপনার চুলের কী ডগা ফাটা? আপনার চুল কী রুক্ষ্ম হয়ে যাচ্ছে? এই ধরণের সমস্যার জন্য এই প্রোটিন ট্রিটমেন্ট খুবই কার্যকরী। আমাদের চুলের প্রধান উপাদান, কেরাটিন প্রোটিন, ধুলো, রোদ, দূষণ আর রাসায়নিক নানা জিনিসের সংস্পর্শে এসে নষ্ট হয়ে যায়। প্রোটিন ট্রিটমেন্ট আপনার চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখে আর এই সবের প্রভাব থেকে দূরে রাখে। এটা যেন চুলকে কন্ডিশনড করে।
কত ধরণের হয় এই ট্রিটমেন্টঃ
এই প্রোটিন ট্রিটমেন্ট নানা রকমের হতে পারে, যেমন –
ক. প্রোটিন প্যাকঃ
খুব হাল্কা রকমের চুলের সমস্যার ক্ষেত্রে এই ট্রিটমেন্ট করা হয়। এটি নিয়মিত ট্রিটমেন্ট হিসেবে করা ভালো। ২ মাস অন্তর অন্তর তো করতেই পারেন।
খ. লাইট ট্রিটমেন্টঃ
এটিও খুব সাধারণ ড্যামেজ হলে করা হয়। এটি মূলত কন্ডিশনিং মাস্ক হিসেবে কাজ করে। প্রতিদিনের যত্নের জন্য এটি খুবই কার্যকরী।
গ. ডিপ পেনিট্রেটিং ট্রিটমেন্টঃ
আপনার চুল যখন বেশ খানিকটা ক্ষতিগ্রস্থ তখন এই ট্রিটমেন্ট খুব কাজে লাগে। এটি চুলকে ভিতর থেকে ময়েশ্চারাইজড করে। এই ট্রিটমেন্ট প্রত্যেক ২ সপ্তাহে করা উচিৎ।
ঘ. রিকন্সট্রাকটরঃ
আপনার চুল যদি খুব ক্ষতিগ্রস্থ হয় তাহলে এই ট্রিটমেন্ট হয়। এটি প্রত্যেক ২ সপ্তাহে একবার করে করা উচিৎ।
প্রোটিন ট্রিটমেন্টের উপকারিতা কী কী
প্রোটিন ট্রিটমেন্ট বলতে গেলে আপনার চুলে নতুন প্রাণ আনে। আসুন দেখে নিই কোন কোন দিক থেকে এটি আপনার চুল ভালো রাখে।
ক. চুল নরম রাখেঃ
প্রোটিন ট্রিটমেন্ট স্ক্যাল্প থেকে মরা চামড়া তুলে দেয়। চুলকে নরম করে তোলে এবং চুলে প্রোটিনের জোগান বজায় রাখে।
খ. চুল মজবুত করেঃ
এই ট্রিটমেন্ট হেয়ার ফলিকলে হাইড্রোলাইজড প্রোটিনের জোগান দেয় সরাসরি। চুলের কিউটিকল শক্ত করে। এভাবেই আপনার চুল মজবুত হয়।
গ. চুলকে ময়েশ্চারাইজড করেঃ
যেহেতু চুল থেকে মরা চামড়া চলে যায় এই ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে আর চুলে সরাসরি প্রোটিনের চাহিদা মেটে, তাই চুল ভিতর থেকে ময়েশ্চারাইজড হয়।
ঘ. চুল ঘন হয়ঃ
এই ট্রিটমেন্ট আপনার চুলের ঘনত্ব বাড়ায়। তাই চুল হয় লম্বা আর ভলিউম বাড়ে।
প্রাকৃতিক হেয়ার প্রোটিনঃ
যদি আপনার বাইরে গিয়ে এই ট্রিটমেন্ট করার সময় না থাকে, আপনি বাড়িতে বসেও এই ট্রিটমেন্ট করতে পারেন। আসুন জেনে নিই কীভাবে।
অ্যাভোকাডোঃ
অ্যাভোকাডোর মধ্যে আছে ফ্যাটি অ্যাসিড। এটি চুল মজবুত করে আর শুষ্ক চুল নরম, মোলায়েম করে তোলে। আপনি খুব সহজেই এই অ্যাভোকাডো ব্যবহার করতে পারেন।
উপকরণঃ ১টি অ্যাভোকাডো, ১ চামচ মেয়োনিজ
পদ্ধতিঃ অ্যাভোকাডো প্রথমে চটকে নিন ভালো করে। এরপর এর মধ্যে মেয়োনিজ নিন। ভালো করে দুটো মিশিয়ে নিন। এই মাস্ক এবার আপনার চুলে লাগিয়ে রেখে দিন ২ ঘণ্টা মতো। তারপর ধুয়ে নিন।
দইঃ
দই এর মধ্যে আছে ল্যাকটিক অ্যাসিড যা আপনার চুল খুব ভালো ভাবে পরিষ্কার করতে পারে।
উপকরণঃ ৩ চামচ দই, ১টি ডিম
পদ্ধতিঃ দইয়ের সঙ্গে ডিম খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপর এই মিশ্রণ চুলে ব্যবহার করুন। ২০ মিনিট মতো রেখে দিন। উষ্ণ গরম জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এটি নিয়ম করে করলে চুল খুবই ভালো থাকে।
আপনি এই দুটি উপকরণের সঙ্গে নারকেল তেল, কলা, মধু, ক্রিম এই সমস্ত উপকরণ মিশিয়েও সুন্দর প্রোটিন ট্রিটমেন্ট পেটে পারেন, আর তাও ঘরে বসেই।
পিবিএ/এমআর