জেনে নিন তুলসি গাছের উপকারিতা ও ঔষধি গুণাগুণ

পিবিএ ডেস্ক: তুলসি গাছের উপকারিতার কথা বলে আর শেষ করা যাবে না। আগেকার দিনে প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতেই একটি করে তুলসি গাছ ছিল। ফ্ল্যাট বাড়ির চলে বাড়িতে গাছের সংখ্যা এখন শূন্যের কোটায়। তবুও নিজের প্রয়োজনে গাছ লাগানোর চর্চা শুরু হয়েছে। সেই চর্চায় থাকুক একটা তুলসি গাছ।

জেনে নিন তুলসি গাছের উপকারিতা :-

১। তুলসি পাতার গুণ: ঠান্ডা, গলা ও শরীর ব্যথা, মানসিক চাপ, ভিটামিন সি, ত্বকের লাবণ্যতা বৃদ্ধি ও শিশুদের সর্দি কাশি নিরাময় করে।

২। ঠাণ্ডার সমস্যা: ঠাণ্ডা লাগলে তুলসি পাতার ব্যবহার আশীর্বাদের মতো কাজ করে। গলার সবরকম সমস্যায় তুলসি পাতা ব্যবহৃত হয়।

৩। হার্টের জন্য: তুলসি পাতায় আছে ভিটামিন সি ও এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা হার্টকে বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্ত রাখে। তুলসি পাতা ও অর্জুন পাতা হার্টের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

৪। মানসিক চাপ ও রক্তচাপ কমায়: তুলসি পাতাতে বিদ্যমান ভিটামিন ও এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে। নার্ভকে শান্ত রাখে ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।

৫। মাথাব্যথা কমাতে: মাথাব্যথা ও শরীরব্যথা কমাতে তুলসি পাতা ও লবঙ্গ খুবই উপকারী। এর বিশেষ উপাদান মাংসপেশীর খিঁচুনি রোধ করতে সহায়তা করে।

৬। বয়সজনিত সমস্যা: তুলসি পাতায় ভিটামিন সি, এসেন্সিয়াল অয়েল বিদ্যমান থাকায় বয়সজনিত সমস্যাগুলো দূর করে চির যৌবন ধরে রাখার টনিক হিসেবেও কাজ করে।

৭। দেহ ও মনে সজীবতা: পানের সাথে রোজ সকালে তুলসি গাছের শিকড় ও আদা চিবিয়ে খেলে দেহ ও মনে সজীবতা ফিরে পাওয়া যায়।

। ত্বকের সৌন্দর্যে: তুলসি পাতার রস ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। তুলসি পাতা বেটে মধু ও হলুদসহ সারা মুখে লাগিয়ে রাখলে ত্বক সুন্দর, মসৃণ ও কোমল হয়।

৯। সর্দি-কাশিতে: যে সকল শিশুদের সর্দি কাশির প্রবণতা বেশি তাদের সকালে ৫/১০ ফোঁটা তুলসি পাতার রস মধুসহ খাওয়ালে ভালো উপকার পাওয়া যায়।

১০। বমি ও মাথা ঘোরা: বমি কিংবা মাথা ঘোরা বন্ধে তুলসি পাতার রসের মধ্যে গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।

১১। রুচি বাড়াতে: সকালবেলা খালি পেটে তুলসি পাতা চিবিয়ে রস পান করলে খাবার রুচি বাড়ে।

১২ : পেটের অসুখে: পেট খারাপ হলে তুলসীর ১০ টা পাতা সামান্য জিরার সঙ্গে পিষে ৩-৪ বার খেলেই পেট ঠিক হয়ে যাবে।

পিবিএ/এমএসএম

আরও পড়ুন...