জেনে নিন, থাইরয়েড হলে কি কি খাবার খাবেন

পিবিএ ডেস্কঃ আজকাল বেশির ভাগ ঘরেই নতুন একটা সমস্যা আমদানী হয়েছে। নাম ‘থাইরয়েড’। বিশেষ করে মহিলারদের মধ্যেই এই রোগ বেশি দেখা দিচ্ছে। কি কি খেলে থাইরয়েডের হাত থেকে সুস্থ থাকা যাবে। তাহলে জেনে নেওয়া যাক কি কি খাওয়া ভালো থাইরয়েডের রোগীদের জন্য।

থাইরয়েড এক প্রকারের হরমোন জনিত সমস্যা। থাইরয়েড শরীরে বেড়ে গেলে বা কমে গেলে ওজন বেড়ে যায়। আবার কখনো ওজন কমে যায় আরও নানা সমস্যা দেখা দেয়। যা শরীরের জন্য একেবারেই ভালো নয়। তাই জিঙ্ক, আয়রন, আয়োডিন, কপার জাতীয় খাবার বেশি করে নিজের ডায়েটে রাখুন। এই প্রত্যেকটি উপাদান থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যকারিতাকে ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

ব্রাউন রাইস বা লাল চালের ভাতঃ ব্রাউন রাইসে থাকে কার্বোহাইড্রেট। যা থাইরয়েডের সমস্যায় মোকাবিলা করতে সাহায্য করে। থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে অনেক সময় হজম ঠিক মত হয় না খাবার। বাদামী ভাত হজম হয়ে যায় সহজে। পাশাপাশি হজমের সমস্যা কমায়। তাই চেষ্টা করুন সাদা ভাতের বদলে লাল চালের ভাত যা ব্রাউন রাইস নামে পরিচিত তা খাওয়ার। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে ব্রাউন রাইস গেলে তা খান থাইরয়েডের ওষুধ খাওয়ার ১ ঘণ্টা আগে।

নারকেল বা নারকেলের দুধঃ নারকেল বা নারকেলের দুধ অনেক দিন আগে থেকেই থাইরয়েডের কার্যকরী উপাদান হিসেবে পরিচিত। থাইরয়েডের গ্রন্থিকে কার্যকরী রাখে। সঠিক মাত্রায় হরমোন তৈরি করে। ফলে শরীরে থাইরয়েডের ব্যালেন্স ঠিক থাকে।

দইঃ দই স্থাস্থের জন্য উপকারি এটা সবার জানা। দইয়ে থাকা ভিটামিন ডি থাইরয়ের বাড়া কমাকে নিয়ন্ত্রন করতে প্রয়োজন হয়। ভিটামিন ডি’র অভাব হলে শরীরে অন্য সমস্যার পাশাপাশি থাইরয়েডের সমস্যাও বেড়ে যায়। তাই যাদের থাইরয়েড আছে তারা রোজ ৫০ গ্রাম মত টক দই খেতে পারেন।

ডিমঃ ডিমের উপকারিতা নিয়ে নতুন করে কিছু লেখার নেই। থাইরয়েডের ক্ষেত্রে ডিমের থেকে ভালো বন্ধু আর কিছু হয় না। ডিমে থাকা নানা পুষ্টিকর উপাদান থাইরয়েডের সমস্যার সাথে অনায়াসে মোকাবিলা করতে পারে। তাছাড়া আরও হাজার একটা সমস্যার সহজ সমাধান ডিম। তবে সেদ্ধ ডিম খাওয়া বাঞ্ছনীয়। ভাজা নয়।

মাছঃ যেকোনো ছোট মাছ খাওয়া উচিত থাইরয়েডের রোগীদের। তবে বিশেষ করে স্যামন মাছ বেশি কার্যকরী থাইরয়েডের ক্ষেত্রে। আমাদের এখানে এই মাছটি খুব একটা বিশেষ পাওয়া যায় না। সেক্ষেত্রে ছোট চারাপোনা মাছ খাওয়া যেতে পারে।

অন্যান্য খাবারঃ থাইরয়েডের সাথে মোকাবিলা করতে শরীরে প্রয়োজন সঠিক মাত্রায় কপান ও আয়োডিন। তাই যে সব খাবারে কপার, আয়োডিন বেশি মাত্রায় আছে সেইসব খাবার বেশি করে খাওয়ার চেষ্টা করুন। সবুজ শাক-সবজি, আঁশওয়ালা মাছ, কাজুবাদাম, ক্যাপ্সিকাম, বিন্স, মেথি শাক ইত্যাদি।

তবে খেয়াল রাখুন বিশেষ করে নিজের মানসিক অবস্থার। অধিক মাত্রায় চিন্তা করলে থাইরয়েড বেড়ে যাবে বইকি কমবে না। সে যত ভালো খাবার খান না কেন! তাই চিন্তা মুক্ত থাকার চেষ্টা করুন বেশি করে। আর রেগুলার ডাক্তারের কাছে চেকাপ অবশ্যই করান। দেখবেন এই বিষয়গুলি মাথায় রেখে সঠিক ডায়েট চার্ট ফলো করতে থাইরয়েডের সমস্যা থেকে নিজেকে কিছুটা হলে ভালো রাখতে পারবেন।

পিবিএ/এমআর

আরও পড়ুন...