জেনে নিন, নার্ভাসনেস দূর করার ৮ উপায়

পিবিএ ডেস্কঃ অনেকসময়ই আপনি অনুভব করেন আপনার হৃদস্পন্দন স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেড়ে গিয়েছে। দৌড়নো ছাড়া আর সেটা হয় সাধারণত নার্ভাস হয়ে গেলে। শরীরে অ্যাড্রিনালিনের ক্ষরণ বেশি হলে হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। অনেকেই অল্পতেই নার্ভাস হয়ে পড়েন। এটি প্রতিদিনের অভ্যাস হলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। কারণ বাড়াবাড়ি আকার নিলে তা হার্টের অসুখে পরিণত হতে পারে। তবে আপনার নার্ভাস হওয়া যদি কোনও অসুখের কারণে না হয়, তাহলে কয়েকটি ঘরোয়া টোটকাতেই ঘাবড়ে যাওয়া অবস্থাকে কাটিয়ে উঠতে পারবেন আপনি। নিচে দেখে নিন কোন কোন জিনিসে নিজের ঘাবড়ে যাওয়াকে আটকাবেন।

মধুঃ বেড়ে যাওয়া হৃদস্পন্দনকে অনেকটা কমিয়ে দেয় মধু। এক চামচ মধু লেবুর পানিতে মিশিয়ে প্রতিদিন খান, ফল পাবেন।

ম্যাগনেশিয়ামঃ ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ শাক-সবজি-ফল ইত্যাদি যেমন আপনাকে হার্টের অসুখ থেকে বাঁচাবে, তেমনই আপনাকে অযথা উত্তেজিত করে তুলবে না। পালংশাক, কলা, দই, সবুজ সবজি ইত্যাদি নার্ভাস অবস্থাকে কাটিয়ে তুলবে।

দারচিনিঃ শরীরের অযাচিত কোলেস্টেরলকে বের করে দিয়ে রক্তের প্রবাহকে বাড়িয়ে দেয় দারচিনি। এতে রয়েছে ম্যাঙ্গানিজ ও পটাশিয়াম যা হার্টকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। একইসঙ্গে তা ব্লাড প্রেসারকেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। উষ্ণ গরম জলে এক চা চামচ দারচিনি গুড়ো মিশিয়ে তা খেলে উপকার পাবেন।

পাকা পেয়ারাঃ সকালে খালি পেটে প্রতিদিন একটি করে পেয়েরা খেতে পারলে তার চেয়ে ভালো কিছু আর হয় না। অনিয়মিত হৃদস্পন্দনকে ঠিক করে অযথা উত্তেজনা কমে যায় পেয়ারা খেলে।

মাছের তেলঃ হার্টের অসুখ যাদের রয়েছে, তাঁরা মাছের তেলের বড়া খেলে উপকার পাবেন। হঠাৎ করে হার্টের উত্তেজিত হওয়া আটকানো যায় এই টোটকায়।

আঙুর ও লেবুর রসঃ নিয়মিত আঙুরের রস খেলে নার্ভাস হওয়া বা হঠাৎ হঠাৎ হৃদস্পন্দনের গতি বেড়ে যাওয়া নিয়ন্ত্রিত হবে। এক কাপ গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে নিয়মিত খেলে বা নানা খাবারে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে নার্ভাস হওয়া থেকে মুক্তি পাবেন।

ভ্যালেরিয়ানঃ এই জাতীয় গুল্ম পানিতে ফুটিয়ে সেই রস রেখে দিতে পারেন। সেটা থেকে এক চা চামচ করে এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে খেলে হার্টের সমস্যায় যেমন সুফল পাবেন তেমনই ঘাবড়ে যাওয়াও কমবে।

পিবিএ/এমআর

আরও পড়ুন...