পিবিএ ডেস্কঃ ফুসফুসের ক্যানসার কোনও সাধারণ অসুখ নয়। এই অসুখ সঠিক সময়ে চিহ্নিত করা না গেলে শতকরা একশো শতাংশ ক্ষেত্রে এটি প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে। প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা না পড়লে একে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। ফুসফুসের মাধ্যমে যেহেতু পরিবেশের সব ভালো-মন্দ সবকিছু আমাদের শরীরে প্রবেশ করে, তাই এখানে ক্যানসারের মতো রোগ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। এছাড়া শরীরের কোথাও ক্যানসার হলে তা রক্তের মাধ্যমে ফুসফুসকে আক্রমণ করতে পারে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এর অন্যতম কারণ হল ধূমপান। শতকরা আশি শতাংশ ক্ষেত্রে এই কারণেই ফুসফুসের ক্যানসার হয়ে থাকে। তাই আগে থেকে এই রোগের পূর্বলক্ষণগুলি সম্পর্কে জেনে রাখা প্রয়োজন। নিচের স্লাইডে দেখে নিন কোন লক্ষণগুলি দেখলে সতর্ক হবেন।
চাপা কাশিঃ অনেক সময়ে ফুসফুসের ক্যানসারে প্রাথমিকভাবে চাপা কাশি হতে পারে। অন্য নানা কারণেও চাপা কাশি হতে পারে। তবে বেশিদিন এমন চললে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
শ্বাসকষ্টঃ শ্বাসকষ্ট বা দম কম পড়া এর অন্যতম লক্ষণ হতে পারে। বস্তুত শ্বাসপ্রশ্বাসের সময়ে কোনওরকম অস্বস্তি অনুভব হলেই চিকিৎসকের কাছে যান।
বুকে ব্যথাঃ বুক কিংবা কাঁধে ব্যথা হতে পারে। যদি বেশ কিছুদিন ধরে এমন ব্যথা হতে থাকে তাহলে অবশ্যই সাবধান হোন।
ওজন কমে যাওয়াঃ হঠাৎ করে অনেকটা ওজন কমে যাওয়া এই রোগের অন্যতম লক্ষণ হতে পারে। ক্যানসারের কোশ শরীরে কব্জা করতে করতে গোটা শরীরকেই ধ্বংস করতে শুরু করে।
গলার স্বরে পরিবর্তনঃ সবসময় ঠান্ডা লেগে থাকার প্রবণতা থাকলে গলার স্বর পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে। স্বরযন্ত্রে ক্যানসার বেশ সহজে থাবা বসাতে পারে। তাই এমন কিছু হলে সাবধান হোন।
নিত্য অসুস্থতাঃ যদি প্রায়ই অসুখে ভুগতে থাকেন তাহলে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে। তবে সাংঘাতিক কিছু লক্ষ্য করলে একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।
খিদে কমে যাওয়াঃ হঠাৎ করে খিদে কমে যাওয়া খুব একটা ভালো লক্ষণ নয়। এর জন্য শরীরের ক্যানসার কোশগুলি দায়ী। ফুসফুসের ক্য়ানসারে আক্রান্ত হলে এমন হতে পারে।
মাংসপেশীতে ব্যথাঃ অনেকেরই হাড় ও মাংসপেশীতে নানা সময়ে ব্যথা হয়। তবে তা যে সবসময় ক্লান্তি বা দুর্বলতার কারণে হয় তা নয়। ফুসফুসে ক্য়ানসার থাবা বসালে এই সমস্যা অনেক বেড়ে যায়।
পিবিএ/এমআর