পিবিএ ডেস্কঃ মেজাজ এমন একটি জিনিস যার উপরে আমাদের সেভাবে কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকে না। কখনও ভালো থাকে কখনও আবার বিগড়ে যায়। আমাদের সবারই কম-বেশি মেজাজ খারাপ হয়। আর এমন হলেই আমাদের রাগ হয়। অনুভূতিপ্রবণ মানুষদের ক্ষেত্রে মেজাজের উত্থানপতন আরও বেশি থাকে। খারাপ মেজাজ হলেই রাগের মাথায় আমরা অনেকসময় এমন কিছু বলে ফেলি বা করে ফেলি যা নিয়ে আমাদের আফশোসের শেষ থাকে না। যখনই রাগ হবে বা মুড খারাপ থাকবে, তখন সবকিছু থেকে নিজেকে খানিকক্ষণের জন্য সরিয়ে নিয়ে শান্ত হওয়ার চেষ্টা করুন। এছাড়াও কয়েকটি জিনিস মেনে চলতে পারলে খারাপ মুড নিমেষে ভালো হয়ে যেতে পারে। নিচে দেখে নিন মুড খারাপের সময় কি করবেন।
স্যোশাল নেটওয়ার্কে কোনও পোস্ট করবেন নাঃ জেনে রাখবেন, আপনার মেজাজ খারাপের বিষয়টি সাময়িক। এই সময়ে কখনও আবেগের বশে ফেসবুক, টুইটারের মতো স্যোশাল সাইটে পোস্ট করবেন না। মনে রাখবেন, ফ্রেন্ডলিস্টে সবাই কিন্তু আপনার বন্ধু নয়। খুব ইচ্ছে করলে ডায়েরিতে নিজের মনের কথা লিখে রাখতে পারেন, ফেসবুকের ‘ওয়াল’-এ নয়।
কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন নাঃ রাগের মাথায় বা খারাপ মুডে থেকে কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না। কারণ এমন অবস্থায় নেওয়া সিদ্ধান্ত বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ফলপ্রসূ হয় না। সিদ্ধান্ত নিন সবসময় ঠান্ডা মাথায়।
ক্ষমা করতে শিখুনঃ যদি কর্মক্ষেত্রে বা অন্য কোথাও আপনার খারাপ মুডের জন্য কেউ দায়ী হয় তাহলে, খুব গুরুত্বপূর্ণ না হলে ক্ষমা করতে শিখুন। জানবেন তাতে আপনার সম্মান বাড়বে।
তর্ক চালিয়ে যাবেন নাঃ তর্ক করে বা ঝগড়া করে অনেকসময়ই আমরা নিজেদের মেজাজ খারাপ করি। সেটা আরও খারাপ হয়, তর্ককে বাড়িয়ে গেলে। সেটা না করে তা এড়িয়ে চলুন। প্রিয়জনের সঙ্গে ঝগড়া হলে, বাড়ির বাইরে গিয়ে খানিক ঘুরে আসুন, মন শান্ত হবে।
মদ্যপান করবেন নাঃ অনেকেই মদ্যপান করেন মেজাজ খারাপ থাকলে। তাতে লাভ তো হয়ই না, উল্টে সম্পর্কের ক্ষতি হয়। নেশার ঘোরে আমরা অনেক কিছু বলে থাকি যা আমাদের বলা উচিত নয়।
মেইল করবেন নাঃ অফিসে ছোটোখাটো ব্য়াপারে মেজাজ খারাপ হতেই পারে। তা বলে সঙ্গে সঙ্গে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে তা জানাতে যাবেন না। তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে। সিট থেকে উঠে কিছুক্ষণের বিরতি নিন। বাইরে বেরিয়ে কফি খেয়ে আসুন।
সবার কাছে সবকিছু বলবেন নাঃ আপনি নিশ্চয়ই জানেন কিছু লোক যারা বন্ধু বলে আপনাকে পরিচয় দিয়েছে, তারা আসলে তা নয়। ফলে সবসময় মনের কথা আবেগের বসে সবার সঙ্গে শেয়ার করবেন না।
খারাপ মুডে বিছানায় নয়ঃ নেতিবাচক চিন্তাভাবনা বা রাগ নিয়ে শুতে যাবেন না। এতে আপনার মস্তিষ্কে ভয়ানক চাপ পড়বে এবং ঘুম নষ্ট হবে।
অত্যধিক খাবেন নাঃ কখনও পরিমাণের চেয়ে বেশি খাওয়া উচিত নয়। তাতে শরীরে লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি হয়। খারাপ মুডে থাকলে তো আরও সেটা করবেন না।
গাড়ি চালাবেন নাঃ রাগের মাথায় গাড়ি চালাবেন না। কারণ সেইসময় মাথায় নানারকম চিন্তা চলতে থাকে। আর গাড়ি চালানোর জন্য একেবারে ধীর স্থির মাথা চাই। ফলে মেজাজ ঠান্ডা হলে তবেই স্টিয়ারিংয়ে হাত দিন।
পিবিএ/এমআর