পিবিএ ডেস্কঃ প্রত্যেকটি মানুষই ছোট-বড় নানা ব্যথার সমস্যায় ভোগেন। প্রত্যেকটি ব্যথাই সঙ্কেত দেয়, শরীরের কোথাও গণ্ডগোল বেঁধেছে। কখনও কোনও আঘাত থেকে আমরা ব্যথা অনুভব করি, কখনও আবার মাত্রাতিরিক্ত খাটনির ফলে শরীরের নানা জায়গায় বেদনা অনুভূত হয়। দাঁতে ব্যথা, মাথা ব্যথায় আমরা অনেক সময়ে পেনকিলার খেয়ে ব্যথা কমানোর চেষ্টা করি। তবে তা কখনই সমাধান হতে পারে না। কারণ এসব ওষুধের নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় যা শরীরের জন্য খুব খারাপ। আসুন দেখে নেওয়া যাক শরীরের নানা জায়গার ব্যথার কিছু ঘরোয়া সমাধান।
মাংসপেশির ব্যথাঃ শরীরের কোথাও জ্বালা বা মাংসপেশিতে ব্যথা অনুভূত হলে হলুদ ব্যবহার করুন। হলুদ গুলে নিয়ে তা ব্যথার জায়গায় লাগাতে পারেন অথবা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। হলুদে রয়েছে ব্যথা প্রশমনকারী উপাদান যা শরীরের ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যুগুলিকে সারিয়ে তুলে ব্যথা কমাতে পারে।
পায়ে টানঃ অনেক সময়ে আমাদের পায়ে টান ধরে। অনেকের মাঝে মাঝেই এই সমস্যা হয়। প্রতিদিন নিয়মিতভাবে টম্যাটো জুস খেলে তা অনেকটা কমে যায়। টম্যাটোয় রয়েছে পটাশিয়াম যার খাটতি হলেই এমন সমস্য়া দেখা দেয় শরীরে।
সাধারণভাবে শরীরের কোথাও ব্যথা হলেঃ সাধারণত শরীরে ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি হলেই নানা জায়গায় টান ধরে, ব্যথা হয়। এজন্য ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ সবুজ শাক-সবজি, মাছ, বাদাম, ডার্ক চকোলেট ইত্যাদি খাওয়া প্রয়োজন।
মূত্রনালীর সংক্রমণঃ মূত্রনালীর সংক্রমণে ব্লুবেরি জাতীয় ফল অত্যন্ত উপকারী। এই ফল ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে যা ওই জায়গা সংক্রামিত করার চেষ্টা করে।
গলা ব্যথাঃ গলা ব্যথায় পেপারমিন্ট দেওয়া চা খান। এতে গলা ব্যথা প্রশমিত হবে ও গলায় আটকে থাকা ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হবে।
বাতের ব্যথাঃ একটু বয়স হলেই বহু মানুষ বাতের ব্যথায় আক্রান্ত হন। এক্ষেত্রে আদা দেওয়া চা বেশ কিছুটা উপকার দেয়। বিভিন্ন জায়গায় গাঁটের ব্যথা কমানোয় তা অত্যন্ত কাজে দেয়। একইসঙ্গে তা মাংসপেশিকে নরম করে টান ধরা থেকে বাঁচায়।
দাঁত ব্যথাঃ দাঁত ব্যথায় লবঙ্গ বা লবঙ্গ তেল খুব কাজে দেয়। লবঙ্গে রয়েছে এমন উপাদান যা ওই জায়গায় নার্ভকে অবশ করে দিয়ে দাঁতে ব্য়থা কমিয়ে দেয়।
বুক জ্বালাঃ পেটে গ্যাস বা অ্যাসিড হলে বুক জ্বালা হয়। এক গ্লাস পানিতে এক চা চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনিগার দিয়ে তা খেলে বুক জ্বালা কমে যাবে।
ঘাড়ের টিস্যুতে ব্যথাঃ ঘাড়ের পাশাপাশি শরীরের নানা জায়গার টিস্যুতে ব্য়থা অনুভূত হতে পারে। এক্ষেত্রে চেরি ফল খাওয়া অভ্যাস করলে তা কমে যাবে। চেরির মধ্য়ে থাকা রাসায়নিক উপাদান শরীরের নানা নরম জায়গার টিস্যুর ব্যথা কমিয়ে দিতে পারে।
পিবিএ/এমআর