জেনে নিন, স্বামীর কাছে প্রিয় হওয়ার উপায়গুলো

পিবিএ ডেস্কঃ বিয়ের পর স্বামীর কাছে আদর্শ হয়ে উঠতে স্ত্রীর কিছু গুণ থাকা আবশ্যক। তবে ভালোবাসা থাকলে গুণ থাকুক আর না থাকুক সবার স্ত্রীর থেকে নিজের স্ত্রীকে সবচেয়ে গুণধারী নারী মনে হয়। তবে স্ত্রীর কিছু কিছু গুণ থাকে যেগুলো স্বামীরা ভীষণ পছন্দ করে থাকে। এমনি ৫ গুনের কথা দেওয়া হলো-

গৃহকাজে নিপুণতাঃ যে স্ত্রী ঘরের কাজকর্মে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সামলাতে পারেন, সেই ঘরে সর্বদা সুখ বিরাজ করে। সেই স্ত্রী সমাজ-সংসারে বিশেষ সম্মান লাভ করেন। এই দক্ষতার জন্য তার স্বামীর জীবনও সুখে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। এই ধরণের স্ত্রীকে স্বামীরা খুব পছন্দ করে।

স্বামীর বুকে মাথা রেখে শোওয়াঃ সারাদিন স্বামী যখন খাটুনির পর একটু বিশ্রাম অথবা সোফায় বসে টিভি দেখে, এরকম সময় স্ত্রী তার স্বামীর বুকে মাথা রেখে হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে শুতে পছন্দ করেন। কাছের মানুষটির হাতের আড়ালে নিজেকে সব থেকে বেশি সুরক্ষিত মনে করেন। আর স্ত্রীর এমন অভ্যাস স্বামীর কাছে খুব প্রিয়।

সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর নেওয়াঃ স্বামী যখন দূরে থাকেন তখন স্ত্রীর কাছ থেকে নিজের খোঁজ-খবর নেওয়া প্রত্যাশা করেন। এতে যদি একটু বেশিই খোঁজ নেওয়া হয় তাতেও তারা বরং খুশিই হন। কারণ এতে করে স্বামী-স্ত্রী ভালবাসাই প্রকাশ পায়।

স্বামীর পছন্দের খাবার যদি রান্না করেঃ প্রতিদিন তো আর ভালো ভালো খাবার রান্না করা হয়ে উঠে না। কিন্তু যখন স্ত্রী তার স্বামীর পছন্দের খাবার রান্না করেন তথন স্বামী স্ত্রীর উপর খুব খুশি হোন। আর স্বামীরা এমনিতেই খুব ভোজনরসিক হয়ে থাকেন। বাড়িতে যত কাজের লোক থাকুক, নিজের স্ত্রীর হাতের এটা-ওটা রান্না খেতে তারা খুব ভালোবাসেন।

সংসারে শান্তিময় পরিবেশ রাখেনঃ যে স্ত্রী সংসারে শান্তিময় পরিবেশ বজায় রাখতে পারে তাদেরকে স্বামী খুবই ভালোবাসেন। কখনো অকারনে ঝগড়া করে না, স্বামীকে অযথা সন্দেহ করে না কোনো ভুল ছাড়া- এরকম বউ সবসময় নিজের সংসারটাকে শান্তিময় রাখে। এতে স্বামীরাও খুব খুশি থাকে।

সম্পর্ক টেকসই করতে যে ৫ টি বিষয় জরুরিঃ আপনি সম্পর্ক করছেন! বেশ ভালো কথা। যদিও সম্পর্ক খুব কঠিন একটি ব্যাপার, তাই সম্পর্কটাকে টিকিয়ে রাখার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করতে হচ্ছে আপনাকে। কিন্তু আপনার সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখার জন্য আপনার সঙ্গীকে সব ধরনের বিষয়ে প্রশ্রয় দিয়ে যাচ্ছেন। এতে আপনার সঙ্গী মাথায় চড়ে বসবে।

আপনি কেমন বোধ করছেন, কি চাইছেন, আপনি কোন কথায় কষ্ট পাচ্ছেন কি না এইসব ব্যপারে আপনার সঙ্গীর কোন যায় আসবে না। সুতরাং নিজের জীবনের সুখের কথা ভেবে প্রয়োজনে আপনি স্বার্থপর হোন। কিছু কিছু জায়গায় স্বার্থপরতা দেখান, দেখবেন সঙ্গী ঠিক হয়ে গেছে। এতে আপনিও সুখী হবেন।

যেসব জায়গায় স্বার্থপরতা দেখাবেনঃ

নিজের কথা চিন্তা করুনঃ আগে নিজের কথা চিন্তা করুন। নিজে যদি ভালো থাকেন তাহলে আপনার আশপাশের সবাই ভালো থাকবে। কিন্তু নিজে ভালো না থেকে যদি অন্যদের ভালো রাখার কথা চিন্তা করেন তাহলে এর বিপরীত হয়ে যাবে। তাই সবার আগে নিজেকে ভালোবাসুন। অন্যকে ভালো রাখার জন্য যে সময় নষ্ট করেন সেখান থেকে কিছুটা সময় বাঁচান নিজের জন্য। দেখবেন নিজে ভালো থাকলে সবাই ভালো থাকবে।

না বলতে শিখুনঃ আপনার সঙ্গী যাই বলুক না কেন সব বিষয়ে হ্যাঁ বলা যাবে না। নিজের স্বার্থের জন্য অর্থাৎ নিজের জন্য যেটা ভালো হবে সেটাতে শুধু হ্যাঁ বলে দিবেন। অন্যথায় না বলাই শ্রেয়। মূল কথা আপনার সঙ্গীর সব কথাকেই প্রশ্রয় দিবেন না।

নিজের পছন্দকে মূল্য দিনঃ কে কী ভালোবাসে সেটা না ভেবে আপনি কোন জিনিসটা পছন্দ করেন সেটা ভাবুন। আপনার পছন্দের কাজগুলি করতে শুরু করুন। যদি কোনও জিনিস পছন্দ না হয় তাহলে সেটা না করুন। অন্যদের ভালো রাখার জন্য নিজের পছন্দকে যদি অবমূল্যায়ন করেন তাহলে আপনি নিজেই ঠকবেন।

নিজের পায়ে দাঁড়ানঃ স্বামী বা বয়ফ্রেন্ড যতই টাকা রোজগার করুক না কেন, নিজে অর্থ উপার্জন করুন। অবশ্য যদি আপনার ইচ্ছে হয়। তবে সাবলম্বী হওয়া খুব প্রয়োজন। না হলে পরে অনেক পস্তাতে হবে।

পিবিএ/এমআর

আরও পড়ুন...