পিবিএ ডেস্কঃ দেশজুড়ে নিশ্বাস ফেলছে বিষাক্ত বাতাস। চট্টগ্রাম হোক বা প্রাণের শহর ঢাকা। ধুলোধোঁয়ায় জর্জরিত শহরগুলির চালচিত্র মোটের ওপর একই।
ফল ভুগছেন শহরবাসী। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হাঁপানি। হু-এর হিসেব অনুযায়ী এই মুহূর্তে ১৬ কোটি বাংলাদেশী অ্যাস্থমায় আক্রান্ত।
শুধু দূষণই নয়, অনেকেই বংশহগত কারণে ক্রনিক হাঁপানির শিকার। কারও ক্ষেত্রে আবার অ্যালার্জি ডেকে আনছে রোগকে। কী ভাবে বুঝবেন আপনি হাঁপানির শিকার।
হাঁপানির লক্ষণঃ শ্বাসপ্রশ্বাসে হুইসেলের শব্দ, ঘন ঘন শ্বাস পড়া, মুখ ও অন্য যে কোনও গ্রন্থিতে অস্বাভাবিক ঘাম, কথা বলতে সমস্যায় পড়া, একটানা কাঁশি এবং বুকে কফ জমে থাকা।
ঘরোয়া প্রতিকার
- গরম চা হাঁপানির টানে উপশমের কাজ করে। তবে দুধ চা নৈব নৈব চ। অ্যাসিড রিফ্লাক্স দ্বিগুণ তিনগুণ বাড়িয়ে দেয় হাঁপানির টান। চলতে পারে গ্রিন টি বা লিকার চা।
- গরম স্যুপেও মেলে উপশম। সহজপাচ্য স্যুপের পুষ্টিগুণ রোগীকে লড়াই করতে সাহায্য করে।
- ইউক্যালিপটাস তেল হাঁপানিতে খুব কার্যকর। গরম পানিতে দু’ফোটা এই তেল ফেলে ভেপার নিলে উপশম পাওয়া যায়।
- বুকে পিঠে সরষের তেল গরম করে মালিশ করা হাঁপানির টানে্র পুরনো দাওয়ায়ই। এতে কাজও হয় ভাল।
- হাঁপানির টান উঠলে পিঠে বালিশ রেখে আধশোয়া থাকতে হয়। তাতে খানিকটা আরাম পাওয়া যায়।
- প্রতিদিন সকালে পানিতে পাতিলেবু ফেলে খেলে দূরে থাকবে হাঁপানি। ভিটমিন সি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করবে।
- প্রতিরাতে এক চামচ মধু খেয়ে শুতে গেলে অনেকটাই আটকানো যায় শ্বাসকষ্ট।
- প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই উপরোক্ত দাওয়াইগুলি উপশমের টোটকা, রোগমুক্তির নিদান নয়। হাঁপানি থেকে মুক্তি পেতে চিকিৎসকের দারস্থ হতেই হবে। নিতে হতে পারে সঠিক ডোজের ইনহেলার। সেই ডোজ ঠিক করতে পারেন একজন ডাক্তারই।
পিবিএ/এমআর