পিবিএ,ঢাকা: হাইকোর্টের নির্দেশে গতকাল রাতে জাহালমকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় বিনা দোষে আটক কারাবাস ছিলেন।
গতকাল রবিবার রাত সাড়ে ১২টায় তার মুক্তির কাগজপত্র কাশিমপুর কারাগারে পৌছালে কারা কর্তৃপক্ষ তাকে মুক্তি দেয়। এ ব্যাপারে কাশিমপুর কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত বালা জানান, গতকাল রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে জাহালমকে মুক্তি দেয়া হয়। জাহালমের ভাই ও পরিবারের লোকজনের সঙ্গে বাড়ি ফিরেছেন।
হাইকোর্ট বলেছে, আদালত বলেন, টিআইবি কি রিপোর্ট দিলো সেটা আমাদের কনসার্ন নয়, কারণ টিআইবি ভুল করতে পারে। কিন্তু ভুল তদন্তের দায় দুদকের এড়ানোর সুযোগ নেই। অর্থ আত্মসাতের মামলায় নিরপরাধ ব্যক্তিকে আসামি করার ঘটনার শুনানিতে বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ গতকাল রবিবার এ মন্তব্য করেন।
দুদক কৌঁসুলি খুরশীদ আলম খানের উদ্দেশে আদালত বলেন, আমরা দুদকের কাজে হস্তক্ষেপ করতে চাই না। কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করুক সেটা আমরাও চাই। আগেও ব্যাংকের দুর্নীতি মামলায় আপনাদের সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু আপনারা একজন নিরপরাধ ব্যক্তিকে আসামি করে তাকে কারাগারে আটক রাখলেন। কোন নির্দোষ ব্যক্তিকে এক মিনিটও কারাগারে আটক রাখার পক্ষে আমরা নই। দুদককে অবশ্যই স্বচ্ছ থাকতে হবে। যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদেরকে চিহ্নিত করতে হবে। তদন্তে ভুল করার সুযোগ নেই। যদি কোন সিন্ডিকেট এর সঙ্গে জড়িত থাকে তাহলে চিহ্নিত করে আদালতকে জানাতে হবে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার “৩৩ মামলায় ‘ভুল’ আসামি জেলে: ‘স্যার, আমি জাহালম, সালেক না”-শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, আবু সালেকের বিরুদ্ধে সোনালী ব্যাংকের প্রায় সাড়ে ১৮ কোটি টাকা জালিয়াতির ৩৩টি মামলা হয়েছে। কিন্তু আবু সালেকের বদলে জেল খাটছেন, আদালতে হাজিরা দিয়ে চলেছেন এই জাহালম। তিনি পেশায় পাটকল শ্রমিক। প্রতিবেদন আমলে নিয়ে হাইকোর্ট দুদক মহাপরিচালক (তদন্ত) মোস্তাফিজুর রহমান, মামলার বাদী আব্দুল্লাহ আল জাহিদ, স্বরাষ্ট্র ও আইন সচিবের একজন করে প্রতিনিধিকে তলব করে। ওই তলব আদেশে গতকাল তারা আদালতে হাজির হন।
পিবিএ/এফএস