পিবিএ ঢাকা : ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী কর্মকৌশল ঠিক করেছে। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক হিসেবে থাকলেও আপাতত জোটের কোনও কার্যক্রম না থাকায় সংগঠন গোছানোর কাজ শুরু করেছে দলটি। জামায়াতের বিভিন্ন জেলার নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
জামায়াতের বিভিন্ন জেলার নেতারা জানান, ইতোমধ্যে জেলা আমির নির্বাচন শুরু হয়েছে। চলতি জানুয়ারি মাসে সারাদেশের আমির নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষকরে আনার কথা রয়েছে। এই মুহূর্তে সারাদেশে বিশেষ টিম নির্বাচন পরিচালনা করছে। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন কমিশন থেকে সারাদেশের নির্বাচিত আমিরদের নাম ঘোষণা করা হবে। জামায়াতের সর্বশেষ সংশোধিত গঠনতন্ত্রের ৩৩ ধারায় বলা হয়েছে, জেলার রুকনদের ভোটে ২ বছরের জন্য আমির নির্বাচিত হবেন।
সিলেট জেলা দক্ষিণের আমির, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য মাওলানা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম সব সময় চলমান থাকে।গঠনতান্ত্রিক মেয়াদ অনুযায়ী জেলা আমির নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আশা করি এ মাসেই শেষ হবে।’
জামায়াতের বিভিন্ন জেলার নেতারা জানান, জেলা আমির নির্বাচনের পর শপথ নেবেন নির্বাচিতরা। এরপর বর্তমান জেলার শুরার গঠন হবে। পর্যায়ক্রমে উপজেলা, পৌরসভা , ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও ইউনিট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
চট্টগ্রাম জেলার একজন দায়িত্বশীল জানান, নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য একটি নির্বাচন কমিশন আছে। নির্বাহী এই কমিশনের সদস্য সংখ্যা প্রায় ৭/৮জন। এর সঙ্গে বোর্ড অব ইলেকশন হিসেবে কাজ করে কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ, যার সদস্য সংখ্যা প্রায় ৪০। জেলার নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য কমিশনের পক্ষ থেকে অঞ্চলভিত্তিক বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে, যারা সারাদেশে জেলা আমির নির্বাচনে রুকনদের ভোট সংগ্রহ করছে। এরপর ভোটগণনা শেষে আমিরদের নাম ঘোষণা করবে কমিশন।
তবে খুলনা বিভাগের একজন দায়িত্বশীল জানান, আমির নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কিছু জায়গায় এখনও শুরু হয়নি। এর মধ্যে খুলনা রয়েছে। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য বলছে, সারাদেশে জামায়াতের প্রায় ৭৮ টি সাংগঠনিক জেলা রয়েছে। গত এক বছরে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে, এমন সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন গাজীপুর জেলার একজন দায়িত্বশীল।