
শীতকাল মানেই ত্বকে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়া। এই সময় হাত,পা, ঠোঁট ফাটাসহ জ্বরঠোসার সমস্যায়ও ভোগেন অনেকেই। যা খুবই যন্ত্রণাদায়ক। জ্বরঠোসা হলে মুখ খুলে খাবার খেতেও কষ্ট হয়। ছোট থেকে বড় যেকোনো বয়সীদেরই এই সমস্যা হতে পারে। এক্ষেত্রে ঠোঁটের কোণে অনেকটা জায়গা জুড়ে ছোট ছোট একগুচ্ছ ফুসকুঁড়ি দেখা দেয়, যা প্রচণ্ড ব্যথা ও লালচে হয়ে ফুলে ওঠে।
চিকিৎসা পরিভাষায় জ্বরঠোসাকে ফিভার ব্লিস্টার বলা হয়। তবে রাতে জ্বর আসলেই যে জ্বরঠোসা হয়, তা কিন্তু নয়। এক্ষেত্রে চিকিৎসকদের মত ভিন্ন। জ্বরঠোসা হওয়ার আরো কারণ আছে। চলুন জেনে নেয়া যাক-
জ্বরঠোসা হওয়ার কারণ
ফিভার ব্লিস্টার হওয়ার কারণ হলো এইচএসভি-১ সংক্রমণ। এ সংক্রমণের ফলে জ্বর আসে। আবার জ্বরের কারণেও ফিভার ব্লিস্টার হতে পারে। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি দেখা দেয়। এছাড়াও ভিটামিন সি ও ডি-এর ঘাটতি হলেও জ্বরঠোসা হতে পারে।
জানলে অবাক হবেন, প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষই এইচএসভি-১ এ আক্রান্ত হন। যা সুপ্ত অবস্থায় থাকে। প্রথমবার হওয়া ফিভার ব্লিস্টার সেরে যাওয়ার পর এইচএসভি-১ স্নায়ুকোষে লুকিয়ে থাকে। পরবর্তীতে আবারো এটি প্রকাশ পায়।
জ্বরঠোসার লক্ষণ
* জ্বর
* ব্যথা
* মাথাব্যথা
* খেতে অসুবিধা
* ঠোঁটে জ্বালা করা
* বমিভাব কিংবা বমি
* ঠোঁট বারবার শুকনো হয়ে যাওয়া
* ঠোঁটের কোণে, বর্ডারে বা বর্ডারের আশেপাশে গুচ্ছ-বদ্ধ ফুসকুড়ি ইত্যাদি।
জ্বরঠোসা সারাবেন যেভাবে
* জ্বরঠোসার স্থানে একেবারেই নখ লগাবেন না। বরফের স্যাঁক নিলে ব্যথা কমবে।
* জ্বরঠোসা থেকে বাঁচতে নিয়মিত ভিটামিন সি’র দৈনিক চাহিদা পূরণ করুন। এজন্য লেবু খান বেশি করে।
* এছাড়াও প্রতিদিন আপেল সিডার ভিনেগার খেতে পারেন। এতে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
* নিয়মিত রসুন খেলেও এ সমস্যার সমাধান হবে। এছাড়াও রসুনের কোয়া কুচি করে ক্ষতস্থানে লাগালেও ভালো ফল পাবেন।
* টি ট্রি অয়েল খুবই উপকারী এক্ষেত্রে। মুখ ভালো করে তুলোয় সামান্য টি ট্রি অয়েল নিয়ে ১৫ দিন ব্যবহারেই মিলবে উপকার।
* লেবুর মিশ্রণ আছে এমন অ্যাসেনশিয়াল অয়েলে তুলা দিয়ে ক্ষতস্থানে চেপে চেপে লাগাতে হবে। এরপর সেখানে অয়েন্টমেন্ট জাতীয় কিছু লাগিয়ে নিন।