জ্বীন যেভাবে মানুষের উপকারে আসে!

পিবিএ ডেস্ক: আমাদের সমাজে জ্বীন নিয়ে অনেক কথা প্রচলিত আছে। জ্বীন কী মানুষের উপকার করতে পারে। জ্বীনকে চাইলে কি আপনি নিজের কাজে ব্যবহার করতে পারেন।জ্বীনকে আপনি সাহায্যকারী বা শ্রমিক হিসেবে কাজে লাগাতে পারেন। কাজ করিয়ে আপনি তার পাওনা দিয়ে দেবেন। এটি জায়েজ আছে।

জ্বীন কিসের তৈরী: পবিত্র কোরআনুল কারীমে আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা বলেন, ‘আমি আদমের আগে জ্বীনকে সৃষ্টি করেছি ‘লু’এর আগুন (অর্থাৎ ধোয়াবিহীন আগুনের শিখা) হতে। (সূরাহ আল-হিজর: আয়াত: ২৭) (সূরা আর-রহমান: আয়াত ১৫) (সূরাহ আল-আ‘রাফ: আয়াত ১২)

হজরত সোলায়মান (আ.) জ্বীনদের নিয়ে বাহিনী তৈরি করেছিলেন এবং তাদের দিয়ে নির্মাণকাজ করিয়েছেন। সুতরাং জ্বীনদের সাহায্য নেয়া নাজায়েজ নয়। তবে এটি বৈধ প্রক্রিয়ায় হতে হবে। জ্বীনকে দিয়ে হারাম কাজ করা যাবে না, আবার জিনের কোনো শর্তও মানা যাবে না।জ্বীন শব্দের অর্থ ও পরিচিতি: জ্বীনজাতি মানুষের থেকে আলাদ এক সৃষ্টি। জ্বীন শব্দের অর্থ: গুপ্ত, অদৃশ্য, লুক্কায়িত, আবৃত ইত্যাদি। জিন্নি একবচন আর জ্বীন হচ্ছে বহুবচন।

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: ফেরেশতাদের সৃষ্টি করা হয়েছে অনুপম জ্যোতি (নূর) দিয়ে, জ্বীনদের সৃষ্টি করা হয়েছে (মিম মা-রিজিম মিন নার) ধোয়াবিহীন আগুনের শিখা দিয়ে এবং আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে তাই দিয়ে যার কথা (কোরআনুল কারীমে) তোমাদের বলা হয়েছে (অর্থাৎ মাটি)। (সহীহ মুসলিম; মিশকাতুল মাসাবিহ হা/৫৭০১)

জ্বীন জাতিকে কখন সৃষ্টি করা হয়েছে: এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, জ্বীন জাতিকে মানুষের পূর্বেই সৃষ্টি করা হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি কালো পচা শুষ্ক ঠনঠনে মাটি হতে। আর এর পূর্বে জ্বীনকে সৃষ্টি করেছি ধোয়াবিহীন আগুনের শিখা হতে।’ (সূরা হিজর, আয়াত ২৬-২৭)

পিবিএ/ইকে

আরও পড়ুন...