ঝাড়খণ্ডে গণপিটুনিতে হত্যার প্রতিবাদে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের বিক্ষোভ

পিবিএ ডেস্ক: ভারতের বিজেপিশাসিত ঝাড়খণ্ডে চোর সন্দেহে তাবরেজ আনসারী নামে এক যুবককে গণপিটুনিতে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ। গতকাল (বুধবার) রাঁচিতে রাজভবনের সামনে জাকির হুসেন পার্কে প্রতিবাদ সমাবেশ হয়।

ওই সমাবেশে জমিয়তের কেন্দ্রীয় ও রাজ্যস্তরের নেতাসহ কয়েক হাজার প্রতিবাদী জনতা শামিল হন। এসময় ক্ষুব্ধ জনতা এ ধরণের অপরাধমূলক কাজে জড়িত ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানো সংগঠনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি দাবি জানায়। রাঁচিতে বিক্ষোভ প্রদর্শনের পরে এক উচ্চস্তরীয় প্রতিনিধিদল ঝাড়খণ্ডের গভর্নর দ্রৌপদি মুর্মু এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাসের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি দেন। প্রতিনিধিদলে জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দের সচিব মাওলানা নিয়াজ আহমেদ ফারুকী, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী, মজলিস-ই-আমলা ও জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দ সদস্য অ্যাডভোকেট শাকিল আহমদ সৈয়দ, মাওলানা মাতিনুল হক ওসামা, মাওলানা আবুবকর কাশেমি, মাওলানা মহসিন আজম কাশেমিসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

স্মারকলিপিতে সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়- তাবরেজ আনসারীর হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে, দোষী পুলিশকর্মী ও এবং গাফিলতিতে অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে দ্রুত মামলা করে অপরাধীদের এমন শাস্তি দেওয়া উচিত যাতে তারা অন্যদের জন্য উদাহরণ হতে পারে।

এছাড়া, নিহত ব্যক্তির স্ত্রীকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ ও তার ভবিষ্যত রক্ষার জন্য সরকারি চাকরি দেয়ার দাবি জানানো হয়েছে। এদিকে, ঝাড়খণ্ডে গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার নয়াদিল্লীর যন্তরমন্তরে প্রতিবাদ বিক্ষোভে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে।

সম্প্রতি বিজেপিশাসিত ঝাড়খণ্ডে চোর সন্দেহে তবরেজ আনসারী (২৪) নামে এক মুসলিম যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে উগ্রহিন্দুত্ববাদী জনতা। তারা তবরেজ আনসারীকে জোর করে ‘জয় শ্রীরাম’ ও ‘জয় হনুমান’ ধ্বনি দিতে বাধ্য করে। ওই ঘটনায় দেশে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়ায় দেশের বিভিন্নস্থানে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ হচ্ছে।

ঝাড়খণ্ড ‘জন অধিকার মোর্চা’র এক রিপোর্টে প্রকাশ, রাজ্যটিতে বর্তমান বিজেপি সরকারের আমলে কমপক্ষে ১২ জন লোক গণপিটুনিতে মারা গেছে। এদের মধ্যে ১০ জনই মুসলিম। অন্য দু’জন আদিবাসী। অভিযুক্তদের মধ্যে অধিকাংশই হল বিজেপি, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও তাদের সহায়ক সংগঠনের সদস্য।

পিবিএ/এমএসএম

আরও পড়ুন...