পিবিএ,ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহ জেলায় আলুর ভাল ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। এরই মধ্যে চাষিরা ক্ষেত থেকে আলু উঠানো শুরু করেছে। উৎপাদিত আলুর ভালদাম পাচ্ছে চাষিরা। ফলে আলু চাষিদেও খরচের তুলনায় লাভবান হচ্ছেন।
ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ঝিনাইদহ জেলার ৬টি উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১৪’শ ২০ হেক্টর আলুর আবাদ করেছ কৃষকরা। আর এপরিমান আবাদ থেকে ৯’হাজার ২’শ ৩০ টন আলু উৎপাদনের লক্ষ্য ধরা হয়েছে। কৃষি বিভাগের হিসাব মতে উপজেলার মহেশপুরে সবচেয়ে বেশি এবং শৈলকুপা উপজেলায় আলুর কম আবাদ হয়েছে।
জেলার মহেশপুর উপজেলার নাটিমা গ্রামের আলু চাষি মতিয়ার রহমান জানান, তিনি এবার প্রায় তিন বিঘা জমিতে আলুর আবাদ করে ছিলেন। তার প্রতি বিঘা জমিতে প্রায় ২৫/২৬ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু প্রতি বিঘা জমিতে আলু প্রায় ১’শ-১’শ ১০ মণ হারে উৎপাদন হয়েছে। তিনি আরো জানান, এবছর প্রতি বস্তা (৬০ কেজি) আলু ৬’শ থেকে সাড়ে ৭’শ ১০-১২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
কোটচাঁদপুরে আলু ব্যবসায়ি ছাব্দার হোসেন জানান, এবছর বাজারে আলুর দাম এখন পর্যন্ত ভাল আছে। বাজার চাহিদা ভালো। তিনি আরো জানান, গত বছর আলুর দাম হঠাৎ করেই কমে যাওয়ায় অনেক কৃষকের লোকসান হয়েছিল। যে কারনে অন্যান্য এলাকায় আলুর আবাদ কম হয়েছে।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ কৃষি বিভাগের উপপরিচালক জিএম আব্দুর রউফ জানান, এ বছর কৃষি বিভাগের পরামর্শে এবং কম খরচে কৃষকর বেশি পরিমান আলু উৎপাদন করতে পারেছে। ফলনও ভাল হবে। তবে আলু বিক্রির বাজার আরো একটু বেশি পেলে ভাল হত।
পিবিএ/এ/হক