পিবিএ,ঝিনাইদহ: নির্মাণের সাত দিনের মাথায় উঠে যাচ্ছে ১৯ কোটি টাকার রাস্তার পিচ। ২২ কিলোমিটার রাস্তার মাত্র তিন কিলোমিটার শেষ হওয়ার পর বিভিন্ন স্থানে তা উঠে গেছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এরপর মঙ্গলবার বিকেলে দুদকের যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক নাজমুস সাদাতের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সড়কটির বিভিন্ন স্থান ঘুরে ঘুরে পরিদর্শন করেছেন। এর আগে সড়কটি পরিদর্শন করেছেন কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী আফিসার সূবর্না রানী সাহাও।
উল্লেখ্য,ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে গান্না হয়ে ডাকবাংলা পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার রাস্তা মজবুতিসহ ওয়ারিং এর কাজ চলছে তিন বছর ধরে। এক সপ্তাহ আগে কালীগঞ্জ নিমতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে পাকাকরণের জন্য কার্পেটিং বা বিচিকরণের কাজ শুরু করে। ৪ থেকে ৫ দিনে তিন কিলোমিটর কাজ সম্পন্ন করে। এরপর ঠিকাদার বৃষ্টির জন্য কাজ বন্ধ রাখেন। কিন্তু এরই মধ্যে সড়কের শ্রীরামপুর গ্রামের অংশের প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তার পিচ ঢালাই উঠে যাচ্ছে। এছাড়াও সড়কের নির্মিত অংশে বড় বড় ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। নতুন সড়ক নির্মানের পর ৭ দিনের মধ্যেই পিচ উঠে যাওয়ায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। সড়কের এমন বেহাল অবস্থায় এলাকাবাসীসহ পথচারীদের জন্য এটি ছিল একটি মুখোরোচক বিষয়।
এলাকাবাসীর জানান, রাস্তার কাজের শুরু থেকে নিম্ন মানের নির্মান সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। সে সময়ে তারা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিভাগের এ সড়ক দেখভালে দায়িত্বে যারা ছিলেন তাদেরকে জানিয়ে ছিলেন। কিন্ত অদৃশ্য কারনে তারা কর্নপাত করেননি। পরে সপ্তাহ খানেকের মধ্যে পিচ উঠা শুরু করলে এখন সকলের টনক নড়েছে। এখন সকাল বিকেল রঙ বেরঙের গাড়ি ভরে মানুষ আসছেন আলোচিত সড়ক দেখতে।
কালীগঞ্জ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তুহিঙ্গীর আলম তপন জানান, এক সপ্তাহ আগে রাস্তার কাজ শুরু করে। কিন্তু গত দুইদিন আগে রাস্তায় ফাঁটল দেখা যায়। এরপর বিভিন্ন স্থান থেকে ঢালাই দেয়া পিচ উঠতে থাকে। এ কাজটি হয়েছে একদমই নিম্ন মানের। রাস্তার উঠে যাওয়া পিচের সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়। এরপর স্থানীয় ঠিকাদার শ্রমিক পাঠিয়ে পিচ উঠে যাওয়া অংশটুকু খুঁড়ছিলেন। এলাকাবাসীর দাবি নির্মিত সড়কের সম্পূর্ণ টুকুই নির্মান হয়েছে নিম্ন মানের জিনিস দিয়ে। ফলে তাদের দাবি নির্মিত সড়কের সম্পূর্ণ অংশটুকুই পুনঃনির্মান করতে হবে।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সূবর্ণা রানী সাহা জানান, রাস্তাটি তিনি নিজে পরিদর্শন করেছেন। নির্মিত অংশটুকু দেখে মনে হয়েছে অত্যন্ত নিম্ন মানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। বিষয়টি তিনি জেলা প্রশাসককে জানিয়েছেন।
পিবিএ/আরিফ মোল্ল্যা/এসডি