আরিফ মোল্ল্যা,ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার শিকারপুর গ্রামে পুকুর থেকে সাফওয়ান নামের ৬ বছরের এক মাদ্রাসাছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত শিশু সাফওয়ান ওই গ্রামের জাম্মিম হোসেন সবুজ মালিথার ছেলে সে শিকারপুর গ্রামের ফাতেমা-মিজান হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার ছাত্র ছিলো।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের শিকারপুর গ্রামের একটি পুকুর থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় একই গ্রামের মৃত ইসলাম উদ্দীনের ছেলে সোহান (১৫) নামে এক ওই মাদ্রাসাছাত্রকে আটক করেছে পুলিশ।
শিশুটির মা সুমাইয়া খাতুন জানান, দুপুরের পর থেকে সাফওয়ানকে পাওয়া যাচ্ছিল না। সন্ধ্যার দিকে পুকুর থেকে সাফওয়ানের মৃতদেহ উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। সুমাইয়া খাতুন অভিযোগ করেন সোহানই তার ছেলেকে হত্যা করেছে।
এদিকে সাফওয়ানের পিতা জাম্মিম হোসেন সবুজ জানান, দীর্ঘদিন ধরে সোহান তার ছেলেকে নানা ভাবে ভয় ভীতি দেখাতো। বিছানায় শুয়ে শুয়ে সাফওয়ান তাকে এ কথা বলতো আর ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে যেতো।
ওই গ্রামের শরিফুল ইসলাম জানান, সোহানকে আটকের পর শত শত মানুষের সামনে সে সাফওয়ানকে পানিতে চুবিয়ে চুবিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। এদিকে নিহত সাফওয়ানের মুখমন্ডলে একাধিক নখের আঁচড় রয়েছে।
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, গ্রামবাসির হাতে আটক সোহানকে পুলিশ উদ্ধার করে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। শিশু সাফওয়ানকে হত্যার মোটিভ উদ্ধারে সরকারের একাধিক টিম কাজ করছে বলেও তিনি জানান।