ঝিনাইদহে সঠিক দাম না পেয়ে তামাক চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে

পিবিএ,ঝিনাইদহ: সঠিক দাম না পেয়ে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার তামাক চাষিরা তামাক চাষ থেকে এবার মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। চাষিদের অভিযোগ তামাকের দাম বেশি দেওয়ার কথা বলে আমাদের দিয়ে চাষ করিয়ে নিচ্ছে। আর টাকা দেওয়ার সময় আমাদেরকে প্রতিকেজিতে ৩৫ টাকা থেকে ৪০টাকা পর্যন্ত কম দেওয়ার হচ্ছে। সে কারনেই এলাকার অনেক তামাক চাষি তামাক চাষ থেকে এবার মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।
সলেমানপুর গ্রামের তামাক চাষী মোমরেজ আলী জানান, গত বছর আমি ৫ বিঘা জমিতে তামাক চাষ করেছিলাম। তামাক চাষ করার সময় তামাকের ফিল্ড অফিসার আল আমিন স্যার আমাদেরকে প্রতিকেজি ১৬৫টাকা করে দেবেন বলে ছিলেন। কিন্তু পরে তামাক দেওয়ার পর আমাকে দেওয়া হলো গড় হিসাবে ১৩৭ টাকা দরে। আমি এর প্রতিবাদ করায় এবার আমার নামের কার্ড পর্যন্ত কেটে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, এবছর তামাকের বীজ ও সার আলমডাঙ্গায় আনতে গেলে মামুন স্যার সার ও বীজ আমাকে না দিয়ে জানিয়ে দেন তোমার নামের কার্ড কেটে দেওয়া হয়েছে। আর এক তামাক চাষী শাহাজাহান আলী জানান, তিনি গত বছর ৮ বিঘা জমিতে তামাক চাষ করেছিলেন। সঠিক দাম না পাওয়ার কারণে এবার কত বিঘা জমিতে চাষ করবেন তা তিনি বলতে পারছেন না। তিনি আরো জানান, তামাকের সঠিক দাম যদি আমাদেরকে দেওয়া হয় তাহলে চাষ করব।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন তামাক চাষি জানান,তামাকের ফিল্ড অফিসার আল আমিন স্যার চাষের সময় বলে থাকেন এবার তোমাদেরকে অনেক দাম দেওয়া হবে। কিন্তু বিক্রয়ের সময় প্রতি কেজিকে দেখা যায় ৪০ থেকে ৫০টাকা নেই। আর যদি কেউ এর প্রতিবাদ করে তাহলে নামের কার্ডটি কেটে দেওয়া হয়। একনকি তিনি আমাদের সাথেও দূরব্যবহার করে থাকেন।
এব্যাপারে তামাকের ফিল্ড অফিসার আল আমিনের সাথে তার মুঠোফোনে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফারুক-উজ্জামান জানান, গত বছর মহেশপুর উপজেলায় ২৫ হেক্টর জমিতে তামাক চাষের আবাদ হয়েছিল। এবছর কতটা হবে তা এই মুহুর্তে বলা যাচ্ছে না। তিনি আরও জানান, তামাক চাষ মুলত মহেশপুর উপজেলার কাজিরবেড়, নেপা ও শ্যামকুড় ইউনিয়নের বেশি হয়ে থাকে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ হাসান আলী জানান, শুনেছি গত বছর তামাক চাষীদেরকে তাদের ন্যায্য মুল দেওয়া হয়নি। যারই কারণে এবছর ঠিক কত হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হবে তা এই মুহুর্তে বলা সম্ভব নয়।

পিবিএ/আরিফ মোল্ল্যা/এসডি

আরও পড়ুন...