পিবিএ ডেস্ক: রোহিট শেট্টির ‘খাতরো কী খিলাড়ি’ বা ওই রকম সব রিয়ালিটি শো-এ কত কী না করতে হয় প্রতিযোগীদের! কখনও গভীর জলে ডুব দিয়ে বাক্সের তালা খোলা থেকে শুরু করে হাত বাধা অবস্থায় খাচার তালা খুলে বেরিয়ে আসার মতো একাধিক ‘খেলা’ আমরা দেখে অভ্যস্ত। তবে এই রিয়ালিটি শো-এ ‘স্টান্ট’ দেখাতে গিয়ে জেল হয়েছে, এমন শুনেছেন কখনও? অদ্ভুত শোনালেও এমনটাই ঘটেছে থাইল্যান্ডে।
এপ্রিল মাসে থাইল্যান্ডের ‘হাত চাও মাই ন্যাশনাল পার্কে দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় একটি রিয়ালিটি শো’র শুটিং ছিল। রিয়ালিটি শো’র ‘ল্য অব দ্য জঙ্গল’ বা জঙ্গলের আইন শীর্ষক এই পর্বের একটি দৃশ্যে দক্ষিণ কোরিয়ো অভিনেত্রী লি ইউল-এম ডুব দেন সমুদ্রের গভীরে। জলের তলায় শুটিং চলাকালীন লি ইউল একটি বড়সড় ঝিনুক হাতে তুলে নেন।
কিন্তু অভিনেত্রী জানতেনই না যে, ঝোঁকের বশে হাতে তুলে নেওয়া ওই ঝিনুকটি থাইল্যান্ডের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে বিপন্ন প্রজাতির তালিকাভুক্ত। ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসে ‘হাত চাও মাই ন্যাশনাল পার্ক’ কর্তৃপক্ষ। মামলা করা হয় ওই অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে।
সংবাদ সংস্থা এএফপি’কে ‘হাত চাও মাই ন্যাশনাল পার্ক’র কর্মকর্তা নারঙ্গ কঙ্গাইদ জানান, পার্কের আইন আর বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইন লঙ্ঘনের অপরাধে গত বুধবার দু’টি পৃথক মামলা করা হয়েছে অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে। এই আইন অনুযায়ী, সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের জেল বা ৬৫০ ডলার (ভারতীয় মূদ্রায় যা প্রায় ৪৫ হাজার টাকার সমান) জরিমানা হতে পারে ওই অভিনেত্রীর।
এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই দক্ষিণ কোরিয়ার ওই জনপ্রিয় রিয়ালিটি শো-এর কর্তৃপক্ষ একটি বিবৃতি দিয়ে ক্ষমা চেয়েছে। রিয়ালিটি শো-এর কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, থাইল্যান্ডের বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইন সম্পর্কে তাঁরা অবগত ছিলেন না। ভবিষ্যতে এই ধরনের শুটিংয়ের ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হবেন তারা ।
পিবিএ / এমআই