ঝুঁকিপূর্ণ সেতু, চরম ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ

পিবিএ,বাগেরহাট: বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ সদর ও খাউলিয়া দু’ ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী খালের ওপারে জরার্জীণ পুলটি দিয়ে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার পথচারি। এলাকাবাসীর দাবী জরাজীর্ণ পুলটি সরিয়ে কালভার্ড নির্মান করা হোক। মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীকে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয় প্রতিদিন।

ঝুঁকিপূর্ণ সেতু
ঝুঁকিপূর্ণ সেতু

এই কাঠের পুল দু’টি যেমন নড়বড়ে তেমনি নেই কোন রেলিংয়ের ব্যবস্থাও। এমনকি শিশুরা পুল পার হয় ঝুঁকি নিয়ে। সরেজমিনে দেখা যায়, মোড়েলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের উত্তর নিশানবাড়িয়া গ্রাম ও খাউলিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম খাউলিয়াসহ দুই গ্রামের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এ কাঠের পুলটি। দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয়। কোন ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দে এ পুলটি নির্মিত হবে এ নিয়ে চলছে দুই ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের টানাপোড়ন। এটিই পুলটি নির্মাণে দীর্ঘসূত্রিতার মূল কারণ বলে এলাকাবাসীর ধারণা।

এখানে রয়েছে একটি মাদ্রাসা,একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১০টি মসজিদ, ৮টি মন্দিরসহ বাজার। প্রতিনিয়ত পুলটি দিয়ে পারাপারে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে শিক্ষার্থীসহ গ্রামবাসীরা। এ বিষয়ে কথা হয় টি.এম মাহফুজ আহম্মেদ মামুন গ্রামের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সহ একাধিক ব্যক্তি জানান,ঝুঁকিপূর্ন পুলটি থেকে প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ হাজার মানুষ পারাপার হচ্ছে।

পথচারি শামসুল হক, সরোয়ার শেখ বলেন, সরকারের কাছে জনগুরুত্বপূর্ন এ পুলটিতে একটি কালভার্ড নির্মাণের দাবী জানান তারা। এ বিষয়ে খাউলিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাষ্টার আবুল খায়ের হাওলাদার বলেন, পশ্চিম খাউলিয়া ও নিশানবাড়িয়া সিমান্তবর্তী পুলটি ইতোপূর্বে ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্ধ থেকে কয়েকবার সংস্কার করা হয়েছে। কালভার্ডের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের লিখিতভাবে আবেদন করা হয়ছে।

এ সর্ম্পকে মোড়েলগঞ্জ সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ মাহমুদ আলী হাওলাদার পিবিএকে বলেন, যদিও দু’টি ইউনিয়নের সিমান্তবর্তী কাঠের পুলটি মোড়েলগঞ্জ ইউনিয়নের আওতায় নয়। পুলটি খাউলিয়াইউনিয়নের আওতায় পড়েছে সেক্ষেত্রে ওই ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্ধের মাধ্যমেই মেরামত করবেন সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান।

পিবিএ/এসআইকে/আরআই

আরও পড়ুন...