ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা

ফজলে রাব্বি, কালিয়াকৈর(গাজীপুর): গাজীপুরের কালিয়াকৈরে করুণার মাঝেও নিজের জীবন ও আরাম আয়েশ বিসর্জন দিয়ে অফিসের নির্দেশে নিয়মনুযায়ী মাঠে নেমে
মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে প্রতিনিয়ত কর্মক্ষেত্রে কাজ করে যাচ্ছে কালিয়াকৈর ফার্মাসিউটিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ এ্যাসোসিয়েশন (ফারিয়া) ঔষধ কোম্পানী প্রতিনিধিগণ। থেমে নেই হাজারো ঔষধ প্রতিনিধি। কোম্পানীর নির্দেশ অনুযায়ী বাধ্য হয়ে নিজ নিজ কর্মস্থলে ভাড়া বাসায় পালন করতে হচ্ছে ঈদ। এযেনো মানবেতর জীবন।
“ফারিয়া”র সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আজম খান জানান, করোনাকালে কোন কোম্পানীর ঝুঁকি ভাতা না থাকলেও , জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিটি ফার্মেসীতে মানুষের জীবন রক্ষাকারী ঔষধ পৌঁছে দিচ্ছে প্রতিটি ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা। তার মাঝেও কিছু কিছু কোম্পানি কর্মীদের টার্গেট এর উপর টিএডিএ প্রদান করছে। এতে করে কোম্পানি ও পরিবারের চাহিদা পূরণ করতে হিমসিম খেতে হচ্ছে হাজারো ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের। ঔষধ কোম্পানির মালিক পক্ষের প্রতি আমার জুড়ালো আহবান থাকবে, আপনারা এই অদৃশ্য মহামারিতে একটু সদয় হলেই বেঁচে যায় হাজারো প্রতিনিধির স্বপ্নের ভবিষ্যৎ।
“ফারিয়া”র সাংগঠনিক সম্পাদক মাছুম মিয়া জানান, কোম্পানীর নির্দেশ অনুযায়ী প্রতিমাসে ২৮ তারিখের মধ্যে ফার্মেসীর বিল সংগ্রহ করতে হয় কিন্তু বর্তমানে ফার্মেসীতে বিক্রি কম থাকাতে বিল পরিশোধ করতে পারছেনা কোন কেমিষ্ট। কোম্পানীর কাছে অনেক জবাব দিতে হচ্ছে আমাদের। প্রয়োজনে নিজের পকেট থেকে কিংবা টাকা ধার করে বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে আমাদের। এটা আমাদের বোঝা হয়ে দাড়িয়েছে। ঈদের চাহিদা পূরণে অনেক কমতি থেকে যাচ্ছে প্রতিনিধিদের। রোজার ঈদে লগডাউন থাকাতে বাড়ি যেতে পারেনি কোন এমপিও, এবারো অফিসের নির্দেশে যেতে পারছেনা ।
“ফারিয়া”র কিছু সদস্য জানান, আমরা আমাদের জীবনের মায়া ত্যাগ করে মানুষের সেবা দেওয়ার জন্য কেমিস্ট সপে গিয়ে ঔষদ সাপ্লাই দিয়ে যাচ্ছি। এমন বিবেচনা করলে কোম্পানি গুলো সকল প্রতিনিধিদের ঝুকি ভাতা দেওয়া প্রয়োজন।

পিবিএ/এসডি

আরও পড়ুন...