পিবিএ,ঢাকা: রাজধানীর সন্নিকটে টঙ্গীর কহর দরিয়া খ্যাত তুরাগ নদের তীরে ঝড়বৃষ্টি উপেক্ষা করে এগিছে চলছে শেষ প্রস্তুতি। হঠাৎ ঝড়বৃষ্টি দেখা দিলেও থেমে নেই ময়দানের কাজ। আর মাত্র পাঁচদিন পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ২০২০সালের ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমা। মুসল্লিদের জন্য প্রস্তত হচ্ছে ১৬০একর বিস্তৃত ময়দান। জেলাওয়ারী মুসল্লিরা ৮৪খিত্তায় অবস্থান করবেন। ময়দানের পশ্চিম পার্শ্বে মুসল্লিদের তুরাগ নদী পারাপারে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক নির্মাণ করা হচ্ছে ৭টি ভাসমান ব্রিজ।
আগামী ১০জানুয়ারি শুক্রবার শুরু হবে ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। ১২ জানুয়ারী রবিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে তা শেষ হবে । এরপর ৪দিন বিরতি দিয়ে দ্বিতীয় পর্ব ১৭জানুয়ারি শুরু হয়ে ১৯জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে দ্বিতীয় পর্ব । প্রথম পর্বের তিনদিন আলেম ওলামা এরপর মাঝে চারদিন বিরতি দিয়ে দ্বিতীয় পর্বের তিনদিন মাওলানা সা’দ অনুসারীরা ইজতেমা আয়োজন করবে।
আলেম ওলামা পক্ষের মুরব্বি ডা: কাজী সাহাবুদ্দিন ও মিডিয়া এডভাইজার মাওলানা জহির বলেন, বিশ্বইজতেমা উপলক্ষে ময়দানের সকল প্রস্তুতি দ্রুত এগিয়ে চলছে। প্রায় ৮০শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ইনশাল্লাহ নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই মুসল্লিদের জন্য ইজতেমা ময়দান প্রস্তুত হবে। তবে গতকাল বৃষ্টির কারনে একটু সমস্যা হয়েছে। ময়দানের কাজ থেমে নেই।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আনোয়ার হোসেন বলেন, ইজতেমা উপলক্ষে প্রথম পর্বে ৮ হাজার পুলিশ বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। ইজতেমা ময়দানের প্রতিটি গেটে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। ইজতেমা ময়দানের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চারপাশে স্থাপিত র্যাবের ১০টি ও পুলিশের ১৪টি ওয়াচ টাওয়ার থেকে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হবে।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন,মুসল্লিদের সেবায় ৪’শটি অস্থায়ী টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে। ১৩টি গভীর নলকুপ দ্বারা সাড়ে ১৮কিলোমিটার পাইপ প্রতিদিন ৩ কোটি ৫৪ লক্ষ গ্যালন সুপেয় পানি সরবারহ নিশ্চতকরণ করা হয়েছে। ৬’শ ড্রাম ব্লিচিং পাউডার ও ২হাজার লিটার কেরোসিন, ৬০টি ফগার মেশিন,নদীতে ৩টি নিরাপত্তা বেষ্টনী নির্মাণ, চতুর্দিকে মুসলিদের চলাচলে সুবিধার্থে ৭৫০টি বৈদ্যুতিক বাতি ব্যবস্থ করা হয়েছে। এছাড়া মুসল্লিদের চলাচলে সুবিধার্থে ধূলাবালি নিয়ন্ত্রণে গাড়ীর মাধ্যমে পানি ছিটানো ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এম’পি বলেছেন, বিশ্ব ইজতেমা আয়োজক কমিটির দুটি অংশের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। শত মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশে বিশ্ব ইজতেমা হবে এবং হচ্ছে। আসন্ন ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে ময়দান ও এর আশপাশে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি জোরদার করা হবে। বিদেশী মুসল্লিদের ভিসার সমস্যা অতিদ্রুততার সঙ্গে সমাধান করা হবে। ভিসার দেওয়ার ক্ষেত্রে কোন সমস্যা হবে না এবং দুই পক্ষই শান্তিপূর্ণভাবে ইজতেমার কার্যক্রম শেষ করবে।
পিবিএ/শতাব্দী আলম/বিএইচ