পিবিএ, টঙ্গী (গাজীপুর) : ওএমএস চাল কেনার লাইনে সামনে দাড়ানো নিয়ে এক নারীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে।
আজ রোববার বেলা এগারটার দিকে টঙ্গী সেনাকল্যাণ ভবনের সামনের মহাসড়কে ওএমএসে’র চাল কেনার লাইনে অপেক্ষায় থাকা নারীদের মাঝে এই ঘটনা ঘটে।
অপরদিকে, চাল কেনার লাইনে রিতিমত ধ্বস্তাধস্তি শুরু হয়। কে কার আগে চাল সংগ্রহ করবে এই ভয়ংকর প্রতিযোগীতা।
টঙ্গী পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ মো. এমদাদুল হকের ভাষ্য, ওই এলাকায় মাত্র একটি স্পটে ন্যায্যমূল্যের চাল বিক্রি হয়। আশপাশের বস্তি ছাড়াও নিন্মবিত্ত মানুষ ও শ্রমিকরা লাইনে দাড়াচ্ছে। যে কারনে ভির বেশী। এই অবস্থায় ওএমএস ডিলারের উচিত একাধিক স্পটে চাল বিক্রি করা। এতে লাইনে ভির কমবে।
সরজমিনে গেছে, টঙ্গী সেণাকল্যাণ ভবনের সামনে কয়েকশ নারী পুরুষ ন্যায্যমূল্যের চাল কেনার অপেক্ষায় লাইনে দাড়ানো ছিল। এরই মাঝে দুই নারী সামনে দাড়ানো নিয়ে ধ্বস্তাধস্তি শুরু করে। একপর্যায়ে একজনের স্বাজনরা ৮/১০ জন মিলে অন্য নারিকে পিটুনি দেয়। ওই নারী গুরুতর আহত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পরে। পরে কয়েকজন তাকে টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এলাকাবাসির ভাষ্যমতে, দিন দিন গাজীপুরে করোনা সংক্রমণের হার গুনিতক হারে বাড়লেও সাধারণ মানুষ সামাজিক দূরত্ব নিয়ম কোনভাবেই মানতে চাচ্ছে না। চাল কেনার লাইন বা বাজার করতে আসা মানুষ প্রতিনিয়ত অন্য মানুষের সংস্পর্শে আসে। এতে করোনা সংক্রমণ ও বিস্তারের ঝুকি বাড়ছে। বাস্তবেও প্রতিদিন গাজীপুরে করোনা সংক্রমিত রোগির সংখ্যা বাড়ছে। যদি এই অবস্থার উন্নতি করা না যায় তাহলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে।
গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কাজী মোঃ সেলিম বলেন, প্রশাসন ও সামাজিকভাবে বিভিন্নভাবে সাধারণ মানুষকে বুঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তারপরও কোন সচেতনতা দেখা যাচ্ছে না। প্রশাসনের আরো কঠোর হওয়া ছাড়া কোন বিকল্প নাই।
পিবিএ/নাইমুল ইসলাম/ মোআ