টঙ্গীতে ভূয়া এমএলএম কোম্পানির ৩২ প্রতারক আটক

পিবিএ, ঢাকা: ডেসটিনির আদলে এখনো বহু এলএম কোম্পানি নানা নামে সক্রিয় থেকে মানুষের সরলতা আর লোভকে কাজে লাগিয়ে সর্বস্ব লুটে নিচ্ছে। এমনি এক ভূয়া কোম্পানির সন্ধান পাওয়া গেছে টঙ্গীর মধুমিতা রোডে।র‌্যাব-১১ এর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ‘লাইফওয়ে বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড’ নামের একটি ভুয়া এমএলএম কোম্পানির অফিসে অভিযান চালিয়ে ৩২ প্রতারককে আটক করেছে ।

প্রতারণা করে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে কথিত ‘লাইফওয়ে বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড’ নামের কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ৩২ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আটক করা হয়েছে। এ সময় ৭৩ জন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়। জব্দ করা হয় বিপুল পরিমাণ অবৈধ মালামাল। র‌্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

মো. কাউসার নামে এক ভুক্তভোগীর দায়ের করা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে র‌্যাব-১১ ওই কোম্পানির অফিসে অভিযান পরিচালনা করে বলে জানিয়েছেন র‌্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী।

এ সময় কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসির হায়দার খান, ম্যানেজার লুৎফর রহমান, প্রশিক্ষক জালাল আহাম্মদ, মার্কেটিং অফিসার সেলিম রেজা, অফিস সহকারী শাহিন ও সিরাজসহ মোট ৩২ জনকে আটক করা হয়।

পরে গ্রেফতারকৃতদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ও জব্দকৃত নথিপত্র পর্যালোচনা করে জানা যায়, ওই ভুয়া এমএলএম কোম্পানির কর্মকর্তারা মাসিক ১৫ হাজার ও তদূর্ধ্ব টাকা বেতনের প্রতিশ্রুতি প্রদান করে তিনটি ভিন্ন প্যাকেজে চাকরি প্রত্যাশীদের কাছ থেকে যথাক্রমে ৩০ হাজার, ৪০ হাজার ও ৫৫ হাজার টাকা গ্রহণ করে।

পরবর্তী সময়ে প্রশিক্ষণের নামে কয়েক সপ্তাহ কালক্ষেপণ করে প্রত্যেককে নতুন দু’জন করে সদস্য সংগ্রহের শর্ত প্রদান করে। নতুন সদস্য সংগ্রহ করে দিলে সংগৃহীত টাকার সামান্য কমিশন দেয়া হয়। নতুন সদস্য দিতে না পারলে কৌশলের আশ্রয় নিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে খালি স্ট্যাম্প ও আপসনামায় জোরপূর্বক স্বাক্ষর রেখে তাড়িয়ে দেয়া হয়। প্রতিবাদ করলে ভাড়াটে লোকদের দ্বারা আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতনও করা হতো।
র‌্যাব-১১ জানায়, পরে উদ্ধারকৃত ৭৩ জনকে নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যেতে নগদ পাঁচশত টাকা করে দেয়া হয়।

এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও র‌্যাবের ওই কর্মকর্তা জানান।

পিবিএ/এএইচ

আরও পড়ুন...