টাকা দিতে পারি না, তাই বয়স্ক ভাতার কার্ডও জোটেনা

আর্গনেস চাম্বুগং
৯৫ বছর বয়সী খাগড়াছড়ির আর্গনেস চাম্বুগং।

পিবিএ,খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলার ৯নং পৌরসভার মহামুনি গ্রামে অবস্থিত গারো সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বয়স্ক মহিলা আর্গনেস চাম্বুগং। বয়স বলতে না পারলেও অনুমানে জানিয়েছেন তাঁর বয়স ৯৫ পেরিয়ে গেছে। স্বামী মারা গেছে অনেক আগেই। ৪ ছেলে ১মেয়ের মধ্যে বড় ছেলেও মারা যায় ৫বছর আগে যার বয়স ছিল ৬৮বছর।

দরিদ্র জনগোষ্ঠী গারো সম্প্রদায়ের বৃদ্ধ মহিলাটি বয়সের ভারে নুঁয়েপড়া লাঠিতে ভর দিয়ে কোন রকমে হাঁটাচলা করতে পারে। গারোদের প্রবীণ ব্যাক্তি জীবনের শেষ প্রান্তে এসে বিষন্নতায় ভুগছেন। বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশে আর্গনেস চেষ্টা করেও পাচ্ছেননা বয়স্ক ভাতা। তাইতো তাঁর একটাই প্রশ্ন আর কত বয়স হলে আমি বয়স্ক ভাতা পাব?

তিনি আরও বলেন, সমাজের অনেকের কাছে আমার ছেলেরা ধর্না দিয়েছে কিন্তু মিলছে শুধু বছরের পর বছর আশ্বাস ‘আগামীতে আসলে পাবেন’। এই আশ্বাসটুকু ছাড়া আর কিছুই পাননি তিনি। করুন আকুতি ও দু’চোখ ভেজা জলে এ কথাগুলো বলেছিলেন তিনি। তিনি আরো জানান, বয়স্ক ভাতাতো সোনার হরিণ এই তীব্র শীতে সরকারী কোন কম্বলও আমার ভাগ্যে জোটেনি।
আর্গনেসের ছোট ছেলে এন্টু চাম্বুগং (৪৫) বলেন, আমরা অসহায় ও গরিব মানুষ, আমরা গারো সম্প্রদায়ের ৩০টি পরিবার একসাথে বসবাস করছি। আমাদেরকে দেখার জন্য যেন কেউ নেই। আমরা বয়স্ক ভাতার কার্ড পাওয়ার জন্য টাকা দিতে পারি না, তাই আমাদের ভাগ্যে কার্ডও জোটেনা।

খাগড়াছড়ি জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো: মনিরুল ইসলাম বলেন, বৃদ্ধ মহিলাটির সাথে আমি নিজেই দেখা করেছি এবং যতদ্রুত সম্ভব তাঁকে বয়স্কভাতা দেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তিনি বয়স্কভাতা পাওয়ার যোগ্য। এতদিন কেনইবা পেলেননা এটি দু:খজনক।

পিবিএ/ইএইচকে

আরও পড়ুন...