টাকা নেই এটিএম বুথে, দুর্ভোগে গ্রাহক

পিবিএ,ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংক ঈদুল ফিতরের ছুটিতে এটিএম বুথে পর্যাপ্ত টাকা রাখার নির্দেশ দিলেও ছুটি শুরু দু’দিনের মাথায় অধিকাংশ ব্যাংকের বুথে গিয়ে টাকা তুলতে পারেননি গ্রাহকরা। এক ব্যাংকের কার্ড নিয়ে অন্য ব্যাংকের বুথে গিয়েও মেশিন থেকে কোনো টাকা বের করতে পারেননি গ্রাহকরা। টাকা না পেয়ে গ্রাহকরা দুর্ভোগে পড়েছেন। অনেকে আবার ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।

মো. রফিকুল ইসলাম রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। রফিকুল ইসলামের ছেলে ঈদের দিন বিকেলে ওষুধ কেনার জন্য টাকা তুলতে হাসপাতালের পাশে একটি বেসরকারি ব্যাংকের এটিএম বুথে গিয়ে ফেরত আসেন। কাছে নগদ টাকা না থাকায় এক বন্ধুর কাছ থেকে বিকাশে টাকা এনে ওষুধ কিনেছেন।

টাকা নেই এটিএম বুথে, দুর্ভোগে গ্রাহক
টাকা নেই এটিএম বুথে, দুর্ভোগে গ্রাহক

এটিএম বুথে টাকার সংকট তৈরি হয়েছে ঈদের দিন বিকেল থেকেই। বেশ কয়েকজন গ্রাহকের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে এটিএম বুথে টাকা না থাকার বিষয়টি জানান। এটিএম বুথে টাকা না থাকার বিষয়ে খোঁজ নিতে বৃহস্পতিবার (৬জুন) সকালে গুলশান, বনানী, বারিধারা এলাকার কয়েকটি এটিএম বুথে গিয়ে নিরাপত্তাকর্মীদের কাছে টাকা আছে কিনা জানতে চাইলে কার্ড দিয়ে চেক করতে বলেন।

বনানীতে এনসিসি ব্যাংকের এটিএম বুথের নিরাপত্তাকর্মী বুথে যাওয়ার চেষ্টা করলেও তিনি জানিয়ে দেন ঈদের দিন বিকেল থেকে এই বুথে টাকা শেষ হয়ে গেছে। এদিকে ঈদের ছুটি বৃহস্পতিবার (৬জুন) শেষ হলেও গ্রাহকদের এটিএম বুথে টাকার সংকট কাটতে আরও দু’দিন লাগবে। ঈদের ছুটির পরেই শুক্র ও শনিবার সরকারি ছুটির কারণে ব্যাংকগুলো এটিএম বুথে কোনো টাকা দিতে পারবে না।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শুক্রবার দিনগত রাতে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের বাড্ডার একটি এটিএম বুথ থেকে জালিয়াত চক্র টাকা তুলে নেওয়ার পর তার কোনো প্রমাণ না থাকায় ব্যাংকগুলোর মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এ কারণে ঈদের ছুটির সময় এটিএম বুথে পর্যাপ্ত টাকা রাখার নির্দেশ দিলেও অধিকাংশ ব্যাংকের বুথে পর্যাপ্ত টাকা ছিল না।

এদিকে এক ধরনের অঘোষিতভাবেই ওই সময় থেকে বন্ধ রয়েছে ডাচবাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলা। আব্দুর রাজ্জাক নামে একজন গ্রাহক বুধবার সকাল থেকে রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকায় ডাচবাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথে গিয়ে টাকা তুলতে পারেননি। চার থেকে পাঁচটি বুথে গিয়েছিলেন তিনি।

এ বিষয়ে ডাচবাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেম মো. শিরিন বলেন, ঈদের ছুটিতে এটিএম বুথে পর্যাপ্ত টাকা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা যখনই কোনো বুথ টাকা সংকটের খবর পাচ্ছি, তখনই গিয়ে টাকা দিয়ে আসছি। তবে বাণিজ্যিক এলাকার দু’একটি বুথে টাকার সংকট হতে পারে। তবে তা ছিলো সাময়িক।

ডাচবাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে জালিয়াত চক্রের টাকা তোলার পর নিরাপত্তা বাড়িয়েছে অন্য ব্যাংকগুলোও। নিরাপত্তা বাড়ানো হলে বিগত সময়ে ঈদের ছুটিতে এটিএম বুথে পর্যাপ্ত টাকা রাখলেও এবার তা সীমিত আকারে হয়েছে। যেকারণে ঈদের ছুটি শেষ হওয়ার আগেই এটিএম বুথগুলোতে টাকার সংকট তৈরি হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও এবিবির চেয়ারম্যান সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, জালিয়াত চক্রের কারণে সবাই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। তবে বুথে টাকার সংকট থাকার কথা নয়।

পিবিএ/আরআই

আরও পড়ুন...