টাঙ্গাইলের বিএনপি’র ৭ স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে লড়ছে , বহিস্কার ১

Tangail-Map-_PBA
ফাইল ছবি
পিবিএ, টাঙ্গাইল : আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে টাঙ্গাইলের ১২টি উপজেলার মধ্যে বেশ কয়েকটি উপজেলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে বিএনপি’র সাত প্রার্থী। দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে কেউ ভোটে অংশ নিলে তাদের ‘বহিষ্কারের’ কথা থাকলেও মাত্র একজন প্রার্থীকে বহিস্কার করা হয়েছে। বাকীরা দলের পক্ষ থেকে কোন শোকজ বা বহিস্কারাদেশ পাননি এখনোও। এনিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের ক্ষোভ বিরাজ করছে।
তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে যারা মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন তাদের নামের তালিকা পাঠাতে তৃণমূলকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জেলা বিএনপি সূত্র জানিয়েছে।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র অংশ নিয়ে প্রার্থীরা ইতিমধ্যে বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে। সেই সাথে জেলা উপজেলার একাধিক নেতা-কর্মীরা নির্বাচনী প্রচার-প্রচারনায় সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। এ নিয়ে জেলার বিএনপি কর্মী-সমর্থকরা দ্বিধাদন্ধে পড়েছে। অনেক উপজেলার নেতা-কর্মীদের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
অজ্ঞাত কারণে দল থেকে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্থা গ্রহণ করছেন না জেলা বিএনপি’র নেতৃবৃন্দরা। জেলার ১২টি উপজেলায় চেয়াম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে বিএনপি’র নেতা-কর্মী ও নেত্রীরা স্থানীয় উপজেলা নির্বাচন অফিসে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন প্রার্থী দলীয় সম্মানে তাদের প্রর্থীতা প্রত্যাহারও করেছেন।
টাঙ্গাইল সদর, কালিহাতী, মির্জাপুর, বাসাইল ও নাগরপুর উপজেলায় বিএনপির ৭ জন নেতা-নেত্রী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিক নিযে নির্বাচনে প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। নিজ নিজ উপজেলায় পরিচিতি থাকায় তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও ভোটাররা তাদের বিএনপি কর্মী হিসেবেই জানেন। যে কারনে দ্বিধাদন্ধে পরেছে ভোটার ও কর্মী-সমর্থকরা।
নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিএনপি’র প্রার্থীরা হলো, টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, কালিহাতী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মতিউল আলম তালুকদার, নাগরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা মো. আব্দুস সামাদ দুলাল, বিএনপি নেতা আরিফুর রহমান সামি, মির্জাপুরে জেলা বিএনপি সদস্য ফিরোজ হায়দার খান, বাসাইল উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান বিএনপির কাজী শহিদুল ইসলাম ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে টাঙ্গাইল মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক লায়লা আক্তার লিপি।
টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল বলেন, ইতি মধ্যে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজগর আলীকে বৃহিস্কার করা হয়েছে। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ভোটার ভোট দিতে পারেননি। আগের রাতেই ভোট হয়ে গেছে। মানুষ ভোট দিতে না পারলে, সেই প্রহসনের নির্বাচন করে লাভ নেই। ফলে এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল।
তিনি আরো বলেন, ব্যক্তিস্বাধীনতা সবার আছে। কেউ চাইলে নির্বাচন করতেই পারেন। কেউ যদি স্বতন্ত্র হয়ে নির্বাচন করেন তাহলে দল থেকে পদত্যাগ করে করতে পারেন। তখন তো দলের পরিচয় রাখার দরকার হয় না। পদত্যাগ করে নির্বাচন করলে তো বহিষ্কারের প্রশ্ন আসবে না।
বিএনপির নীতিনির্ধারণী আরেক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, উপজেলা নির্বাচনে দলের কেউ অংশ নিতে পারবে না- এমন নির্দেশনা সব সাংগঠনিক জেলা শাখায় জানিয়ে দেয়া হয়েছে। কেন্দ্রে এরকম সিদ্ধান্ত নিলে নিয়ম অনুযায়ী দলের পদে থেকে কেউ নির্বাচনে দাঁড়াতে পারে না। সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত আসবে। সাংগঠনিক ব্যবস্থা না নিলে দলে শৃঙ্খলা থাকবে না।
পিবিএ/জেডআই

আরও পড়ুন...