পিবিএ, কক্সবাজার : ঈদুল আযহার টানা ছুটিতে কক্সবাজারে নামবে পর্যটকের ঢল। আর এসব পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত কক্সবাজার। হোটেল মোটেল গুলো নানাভাবে সাজানো হয়েছে। ঈদের এ ছুটিতে দেশি বিদেশি প্রায় তিন লাখের মতো পর্যটক আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় কাজ করছে জেলা প্রশাসন সহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বিশ্বের দীর্ঘতম বালুকাময় সৈকতের শহর কক্সবাজার। এখানে সারা বছরই দেশী বিদেশী পর্যটকরা আসেন। তবে ঈদের ঠানা চুঠিতে পর্যটক আগমনের হার বেড়ে যায়। এবার ও তার বেতিক্রম হবে না। সবুজ পাহাড়ের কুল ঘেষে সমুদ্রের বিশাল জলরাশি যেনো চুরি করেছে আকাশের নীল রং। এমন সৌন্দর্যের মিতালি ঘটেছে কক্সবাজারে। এই রুপ দেখতে এবং সমুদ্রের জলে জলকেলি করতে প্রতি বছর কক্সবাজারে বেড়াতে আসে লাখো পর্যটক। আগত পর্যটকদের বরন করতে প্রস্তুত হোটেল মোটেলগুলোও।
হোটেল দ্যা কক্সটুডের ম্যানেজার আবু তালেব শাহ বলেন,আমাদের ৭ দিনের বুকিং রয়েছে। আমরা আশা করছি এবার অনেক পর্যটক আসবে। হোটেল সী গালের জি এম রুমি বলেন,আমাদের হোটেলকে সাজানো হয়েছে। আমরা পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। সট্রাভেল টিউন এর পরিচালক বেলাল আবেদিন বলেন,সাফারি পার্ক,সোনাদিয়া দ্বীপ,মহেশখালি, ইনানী, এবং বিশ্বের দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভ সড়ক আছে পর্যটকদের দর্শনের স্থানের তালিকায়।
এসব স্থান ঘুরে দেখার জন্য পর্যটকরা আমাদের সাথে যোগাযোগ করছে। ধারাবাহিক নিরাপত্তার পাশাপাশি এবারে নেয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থাা। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন বলেন, হোটেল এবং রেস্টুরেন্টগুলোর হয়রানি বন্ধে কাজ করবে জেলা প্রশাসনের বিশেষ মোবাইল টিম।
এই ঈদে টানা ছুটি পড়ায় কক্সবাজারে আসবে দুই থেকে থেকে তিন লাখ পর্যটক। তাদের নিরাপদে অবস্থাানের জন্যে আছে প্রায় সাড়ে চারশো হোটেল, মোটেল ও কটেজ। জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বলেন,কক্সবাজারে আগত পর্যটকের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থাা গ্রহন করা হয়েছে।
পিবিএ/আনাম/জেডআই