টানা তিন দিনের বৃষ্টিপাতে ঝুঁকিতে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির: জাতিসংঘ

পিবিএ ডেস্কঃ টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে রোহিঙ্গাদের ২৭৩টি আশ্রয়স্থল নষ্ট হয়ে গেছে আর আহত হয়েছে ১১ জন। শুক্রবার জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর এই তথ্য জানিয়েছে। এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির মুখপাত্র চার্লি ইয়াক্সলি জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির এলাকায় আরও বৃষ্টিপাত ও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।

২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পূর্বপরিকল্পিত ও কাঠামোগত সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে নতুন করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ৭ লাখেরও বেশি মানুষ। বর্তমানে বাংলাদেশের কক্সবাজারের বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে বাস করা রোহিঙ্গার সংখ্যা দশ লাখেরও বেশি। ঘণবসতিপূর্ণ এসব শিবিরে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি মৌসুমী বৃষ্টিপাতের সময় অবর্ণনীয় হয়ে ওঠে।

শুক্রবার ইউএনএইচসিআর-এর মুখপাত্র চার্লি ইয়াক্সলি জানান, বিগত ৭২ ঘণ্টায় শিবির এলাকায় সাড়ে তিনশো মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগামী সপ্তাহে আরও বৃষ্টিপাতের আশঙ্কার কথা জানান তিনি। ইয়াক্সলি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, আগামী চার মাস এই অঞ্চলে চলবে বৃষ্টিপাতের মৌসুম।

ইউএনএইচসিআর-এর কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিক খবর অনুযায়ী বৃষ্টিপাতের কারণে ২৬টি ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। জরুরি সহায়তার জন্য শরণার্থী স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, আমরা অস্থায়ীভাবে ২ হাজার ১৩৭ জনকে সরিয়ে নিয়েছে। সতর্কামূলক ব্যবস্থা বা বাসস্থান ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় তাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

ইউএনএইচসিআর-এর তথ্য মোতাবেক ২০১৯ সালের একশন প্লান অনুযায়ী অনুযায়ী বাংলাদেশের রোহিঙ্গা মানবিক সংকট মোকাবিলায় ৯২ কোটি মার্কিন ডলার প্রয়োজন। তবে এর মধ্যে মাত্র এক তৃতীয়াংশের সংস্থান করা গেছে।

পিবিএ /ইকে

আরও পড়ুন...