টানা দুই ঘণ্টা ট্রাম্প-পুতিনের ফোনালাপ

রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ বন্ধের উদ্দেশে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিন বছর আগে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়।

gnewsদৈনিক ইত্তেফাকের সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাত আটটার (বাংলাদেশ সময়) দিকে তারা ফোনে কথা বলা শুরু করেন। টানা দুই ঘণ্টা আলাপ হয় এই দুই নেতার মধ্যে।

সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, ট্রাম্প ও পুতিন প্রায় দুই ঘণ্টা কথা বলেন। একটি সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের এ ফোনালাপের উদ্দেশ্য ছিল, পুতিনকে ৩০ দিনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজি করানো। যার মধ্যে আছে রুশ বাহিনীর দখল করা ইউক্রেনের বৃহৎ অঞ্চল।

চলতি মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় রাশিয়ার সঙ্গে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় ইউক্রেন। এরপর একই প্রস্তাব রাশিয়াকেও দেয় মার্কিনিরা। যদিও রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন এখনো এতে পুরোপুরি রাজি হননি। তবে ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি কথা বললে পুতিন হয়তো যুদ্ধবিরতিতে রাজি হতে পারেন।

৩০ দিনের ওই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের পর পুতিন গত সপ্তাহে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তারা যুদ্ধবিরতিতে রাজি। তবে এই যুদ্ধবিরতিটি হতে হবে মূল সমস্যার ওপর। যেটির মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে থাকা দ্বন্দ্ব নিরসন হবে। এ ছাড়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবটির বিস্তারিত জানতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ট্রাম্প এরপর রাশিয়াকে ইউক্রেনের ভূখণ্ড দিয়ে দেওয়া এবং বিখ্যাত জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির নিয়ন্ত্রণ দেওয়ার ইঙ্গিত দেন।

রাশিয়া জানিয়েছে, তাদের স্বার্থ রক্ষা হলেই কেবল তারা যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবে। তিন বছরের যুদ্ধে ইউক্রনের পাঁচ ভাগের এক ভাগ অংশ দখল করেছে রাশিয়া। যেগুলোকে তারা নিজেদের ভূখণ্ড হিসেবে দাবি করে।

হোয়াইট হাউজের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ ডান স্কাভিনো পরবর্তীতে এক্সে আরেকটি পোস্ট করেন, সেখানে তিনি লেখেন ‘আলোচনা চলছে’। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, মার্কিন কর্মকর্তাদের কাছ থেকে এই ফোনালাপের ব্যাপারে খুব বেশি তথ্য জানা যাচ্ছে না। তবে ডান স্কাভিনোর পোস্টের মাধ্যমে এটি স্পষ্ট হয়েছে, ট্রাম্প ও পুতিন ৯০ মিনিটের বেশি সময় ধরে কথা বলছেন। এর কিছুক্ষণ পরই জানা যায় তাদের ফোনালাপ শেষ হয়েছে।

আরও পড়ুন...