পিবিএ,চট্টগ্রাম: রোববার রাত থেকে টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রামে শহরজুড়ে ব্যাপক জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রামে পাহাড় বা ভূমি ধসের প্রবল আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নগরীর বিভিন্ন নিচু এলাকা হাটু পানিতে ডুবে আছে। এতে যানবাহন চলাচল ব্যহত এবং স্কুল কলেজ ও অফিসগামীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
এদিকে গত ৩ দিন ধরে টানা বৃষ্টি চললেও রবিবার রাত থেকে টানা ভারী বর্ষন চলছে চট্টগ্রাম বিভাগ জুড়ে। ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকু-ে বিভিন্ন এলাকায় মহাসড়কের ওপর পানি জমে যানবাহন চলচলে বিঘ্নিত সৃষ্টি হচ্ছে। এতে করে মহাসড়কে যানজট লেগেছে।
নগরীর বহদ্দার হাট কাপাসগোলা, চকবাজার, ষোলশহর, আগ্রাবাদের এক্সেস রোডের ও বিভিন্ন শাখা রোড়, মুরাদ হালিশহর, খাতুনগঞ্জ, বাকলিয়াসহ বেশ কিছু এলাকাতে ব্যাপক জলবদ্ধতার সৃস্টি হয়েছে। এসব এলাকায় সকাল থেকে যানবাহন চলাচলে সমস্যা হচ্ছে।
ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রামে পাহাড় বা ভূমি ধসের প্রবল আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ঝুঁকিপ্র্ণূ পাহাড়ের পাদদেশ থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিচ্ছে। দুদিনে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে ২৫০ পরিবার আশ্রয় নিয়েছে বলে জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানিয়েছেন। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারগুলোকে নিজ উদ্যোগে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। রেড ক্রিসেন্ট নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করেছে। মেডিকেল টিম গঠন করেছে জেলা সিভিল সার্জন অফিস। যে কোন দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রশাসন থেকে প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা বজলুর রশিদ জানান, রবিবার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত রাঙামাটি ১৭০ মি.মি. বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া সীতাকু-ে ১৬৮ ও চট্টগ্রামে ৭৪ মি.মি. বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়। তিনি আরও জানান, আগামী দুইদিন বৃষ্টির ধারা অব্যাহত থাকতে পারে। সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত অব্যাহত রয়েছে।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের জামালখান ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন জানান, কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির কারণে নগরীর কিছু এলাকাতে পানি জমে গেছে। সিটি কর্পোরেশর কর্মীরা নালা নদর্মা পরিস্কার করে পানি নিস্কাষনের কাজ করছে। সরেজমিনে তদারকি করতে আমরা এখন আগ্রাবাদে এসেছি।
পিবিএ/ মুছা/হক