টানা বৃষ্টিতে ডুবে গেছে দুমকির ১২৫ টি মাছের ঘের

পিবিএ,দুমকি(পটুয়াখালী): অমাবশ্যার জো- আর টানা বৃষ্টিতে পটুয়াখালীর দুমকিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে অন্তত: ১শ’২৫ মাছের ঘের, পুকুর, ডোবার মাছ ও পোনা ভেসে গেছে। এতে মাছ চাষীদের সরকারি হিসেবে ১১লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।

উপজেলা মৎস্য বিভাগের তথ্যমতে ১২৫টি পুকুর, ডোবা ও মাছের ঘের তলিয়ে মাছ ও পোনা ভেসে গেছে। সরকারি হিসেবে ক্ষতিগ্রস্থ পুকুর ও মাছের আয়তন ১২.৬৫ হেক্টর। এসব পুকুর ডোবায় চাষীদের অন্তত: ৩মে.টন মাছ ও ৬২হাজার ৫শ’ পোনা ভেসে গেছে। পুকুর, ডোবা ও মাছের ঘেরের বাঁধ ধ্বসে অন্তত: ২লক্ষাধিক টাকার অবকাঠামোগত ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। টাকার অংকে ক্ষতির পরিমান ১১লাখ ১হাজার ১শ’ ২৫টাকা।

উপজেলা মৎস্য বিভাগের সহকারী ফিল্ড কর্মকর্তা মো: সাইফুল ইসলাম জানান, সাম্প্রতিক অমাবশ্যার জো-এবং সপ্তাহকালের টানা বর্ষণে পায়রার নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়া জোয়ারের পানিতে শ্রীরামপুর, পাংগাশিয়া, আংগারিয়া, লেবুখালী ও মুরাদিয়া ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ওইসব এলাকার পুকুর, ডোবা ও মাছের ঘের তলিয়ে চাষীদের মাছ ও পোনা ভেসে গেছে। সরেজমিন পরিদর্শণ করে উপরোক্ত ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ করা হয়েছে। উপজেলা মৎস্য চাষী কল্যান সমিতির সভাপতি মো: আমির হোসেন মৃধা জানান, উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় পানিতে তলিয়ে মৎস্য চাষীদের পুকুর ও ঘেরের মাছ সম্পূর্ণ ভেসে গেছে। চাষীরা এখন চোখে সর্ষে ফুল দেখছে। তিনি আরও বলেন, সরকারি হিসেবে দেখানো ক্ষয়-ক্ষতির পরিমানের চেয়ে বাস্তবে ক্ষয়ক্ষতি আরও বেশী। ১২৫টি পুকুর ও ঘের দেখানো হলেও প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমান দ্বিগুণেরও বেশী হবে।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: নাসির উদ্দিন বলেন, মাঠ পর্যায়ে জরিপ রিপোর্টের ভিত্তিতে ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে ব্যক্তি ও পারিবারিক পর্যায়ে চাষকৃত পুকুর ডোবা ও ঘের তলিয়ে মাছ ভেসে গিয়ে ক্ষতি হয়েছে বলেও তিনি স্বীকার করেছেন।

পিবিএ/এসডি

আরও পড়ুন...