পিবিএ ডেস্ক : ব্যস্ত রাস্তা দিয়ে চলছে গাড়ি। তার পাশেই হামাগুড়ি দিচ্ছেন কালো কোট পরা বেশ কয়েকজন নারী। একদম সামনে একটা বড় পতাকা হাতে হাঁটছেন একজন পুরুষ। পতাকায় লেখা বেশ কয়েকজনের নাম।
পিছনে ওই হামাগুড়ির দৃশ্যের ভিডিও তুলে রাখছেন আরও দু’জন পুরুষ। পথচারীরা থমকে দাঁড়াচ্ছেন। কেউ কেউ ভিডিও ধারণ করছেন। সম্প্রতি পূর্ব–চীনের এক শহরে দেখা গিয়েছে এমনই অদ্ভুত দৃশ্য। একটি অনলাইন খবরের সংস্থা বিষয়টি ফাঁস করার পরেই জানা গিয়েছে নেপথ্যের আসল কারণ।
টার্গেট পূরণ করতে না পারায় এক চীনা প্রসাধনী সংস্থা এমনভাবেই শাস্তি দিয়েছে সেটির অধীনস্থ কর্মচারীদের। সংস্থার এক পুরুষ কর্মকর্তা শাস্তি পাওয়া নারীদের নামের তালিকা নিয়ে সামনে হাঁটছিলেন। পিছনে পুরো ঘটনার ভিডিও তুলছিলেন ওই সংস্থারই আরও দুই পুরুষ কর্মকর্তা। কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই তারা এমনটা করছিলেন বলে জানা গিয়েছে। পুলিশে খবর গেলে তারা এসেই বিষয়টি বন্ধ করে দেয়।
গত কয়েক দিনে এই আজব শাস্তি নিয়ে চীনের সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দার ঝড় উঠেছে। প্রসাধনী সংস্থার এই অপমানসূচক ব্যবহারের বিরুদ্ধে তো বটেই, যে মহিলারা হামাগুড়ি দিয়েছেন, তাদের সমালোচনাতেও মুখ খুলেছেন অনেকে। কেউ কেউ লিখেছেন, ‘অর্থের জন্য মানুষ নিজের মান–সম্মান বিসর্জন দিয়ে এতটাও নীচে নামতে পারে?’ আবার কেউ লিখেছেন, ‘এখনও কেন চাকরি করছেন ওই সংস্থায়, যারা মানুষকে তার ন্যায্য সম্মানটুকু দিতে পারে না?’ নিন্দার মুখে পড়ে আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে সংস্থাটিকে।
চীনের আইন অনুযায়ী, কোনও সংস্থাই তার কর্মীদের অপমানসূচক শাস্তি দিতে পারে না। কিন্তু অভিযোগ, বেশিরভাগ সংস্থাই সেই নিয়ম মানে না। গত মাসেই কর্মীদের কাজে অসন্তুষ্ট এক সেলুন মালিক এমনই শাস্তি দিয়েছিলেন। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল, নিজের গালে নিজেরাই একশো বার করে চড় মারছেন ওই কর্মীরা।
পিবিএ/জিজি