টিআইবি আর বিএনপির বক্তব্যে ৮০ শতাংশ মিল : হাসান মাহমুদ


তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ।

পিবিএ,ঢাকা: সদ্য প্রকাশিত ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) দুর্নীতির ধারণা সূচকে বাংলাদেশের দুর্নীতি বৃদ্ধি নিয়ে প্রতিবেদনকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ করা বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড.হাসান মাহমুদ।

বুধবার সচিবালয়ে টিআইএর প্রতিবেদনের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

হাছান মাহমুদ বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের পর বিএনপি কিছু অভিযোগ উপস্থাপন করেছিল। পরবর্তীতে যখন নতুন সরকার গঠিত হলো তখন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ নির্বাচন নিয়ে একটি গবেষণা প্রতিবেদন নাকি প্রকাশ করেছিল, তাদের বক্তব্যে এটি নাকি গবেষণা প্রতিবেদন। অথচ নির্বাচনে টিআইবির পর্যবেক্ষকই ছিল না। তাদের বক্তব্য ও বিএনপির বক্তব্যে ৮০ শতাংশ মিল ছিল। মনে হয়েছিল বিএনপির হয়েই তারা যেন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। সেটি যখন হালে পানি পায়নি, এরপর তারা গতকাল দুর্নীতির ধারণা সূচক প্রকাশ করেছে। এটি করে তারা আন্তর্জাতিকভাবে দেশ, দেশের জনগণ ও সরকারকে হেয় প্রতিপন্ন করার প্রচেষ্টা চালিয়েছে।’

তিনি বলেন, দেশকে হেয় প্রতিপন্ন করতে এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর হাতে ‘রাজনৈতিক হাতিয়ার’ তুলে দেওয়ার উদ্দেশ্যে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে, যেটা সমীচীন নয়। প্রকৃতপক্ষে এটি মনগড়া প্রতিবেদন উল্লেখ করে তা প্রত্যাখান করেন।

টিআই- এর সূচক অনুযায়ী, ১০০ নম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ গতবার পেয়েছিল ২৮। এক বছরের ব্যবধানে এবার দুই পয়েন্ট কমে স্কোর হয়েছে ২৬। সূচকের স্কেলে শূন্য স্কোর সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত এবং ১০০ স্কোরকে সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত বা সর্বাধিক সুশাসনের দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

এবার স্কোর অনুযায়ী, ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ভালো থেকে খারাপের দিকে ১৪৯তম। গতবার ছিল ১৪৩তম। ফলে বাংলাদেশ ছয় ধাপ পিছিয়েছে। আবার নিচ থেকে ওপরের দিকে অবস্থান ১৩তম। বাংলাদেশের সঙ্গে একই অবস্থানে আছে আফ্রিকার দেশ মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্র ও উগান্ডা। গত বছর বাংলাদেশ ছিল ১৭তম। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ চার ধাপ পিছিয়েছে।

বাংলাদেশ এবার এশিয়ায় চতুর্থ সর্বনিম্ন এবং দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয় সর্বনিম্ন অবস্থানে রয়েছে। অর্থাৎ এশিয়ায় বাংলাদেশের চেয়ে দুর্নীতি বেশি তিনটি দেশে। আর দক্ষিণ এশিয়ায় দুর্নীতিতে বাংলাদেশের চেয়ে খারাপ অবস্থা একটি দেশে, আফগানিস্তানে।

এর আগে ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের অবস্থান ছিল দুর্নীতিতে শীর্ষে। এর মধ্যে ২০০১ সালের ২৬ জুন টিআই যখন এই সূচক প্রকাশ করে, তখন ক্ষমতায় ছিল আওয়ামী লীগ সরকার। এরপর বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে পরপর চারবার দুর্নীতিতে শীর্ষে ছিল বাংলাদেশ।

পিবিএ/এমটি/ জেডআই

আরও পড়ুন...