টিএসসির কক্ষ থেকে গভীর রাতে ছাত্র-ছাত্রী আটক

পিবিএ, ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) একটি কক্ষ থেকে গভীর রাতে দুই শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ জুন) দিবাগত রাত ১ টা ১০মিনিটে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা তাদের আটক করেন।

আটককৃত দুইজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র-ছাত্রী। এরা দুজনেই নারী ও পুরুষ শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত দুটি হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।

প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, টিএসসির ট্যুরিস্ট সোসাইটির কক্ষে দুজন শিক্ষার্থী দীর্ঘ রাত পর্যন্ত অবস্থান করছেন বলে তাদের কাছে খবর আসে। তারা রাত ১টার দিকে টিএসসিতে গিয়ে ওই কক্ষের দরজা বন্ধ ও লাইট নেভানো দেখতে পান। দীর্ঘ ১০ মিনিট দরজা ধাক্কানোর পর দরজা খুলে ওই দুই শিক্ষার্থী বেরিয়ে আসেন।

নিয়ম অনুযায়ী, সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো টিএসসির কক্ষ ব্যবহার করতে পারে। তবে কোনো বিশেষ কর্মসূচি থাকলে অনুমতি সাপেক্ষে রাত ১১টা পর্যন্ত কক্ষ ব্যবহার করা যায়।

তাই নিয়মের বাইরে গিয়ে দীর্ঘ রাত পর্যন্ত কক্ষের ভেতর কি করছিলেন জানতে চাইলে ওই ছাত্র জানান, তারা ভেতরে ঘুমাচ্ছিলেন।

হল থাকতে কেন টিএসসির এই কক্ষের ভেতর ঘুমাচ্ছিলেন তা জানতে চাইলে ওই ছাত্র বলেন, তার সঙ্গে থাকা ছাত্রীর বাড়ি গাজিপুরে। সেখান থেকে রওনা দিলে রাত সাড়ে ১১টায় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে পৌঁছেন। ১০টার পরে আর হলে প্রবেশের সুযোগ না থাকায় তিনি টিএসসির ওই কক্ষে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

তবে উল্লেখ্য, কোনো নারী শিক্ষার্থী বাসা থেকে হলে ফিরতে বেশি রাত হয়ে গেলে হল প্রভোস্ট/সংশ্লিষ্ট ব্লকের শিক্ষক অথবা প্রক্টরিয়াল বডির সাহায্য নিয়ে হলে প্রবেশ করতে পারেন।

এদিকে, আটক করার পর প্রক্টরিয়াল বডি যখন দুই শিক্ষার্থীর পরিচয় জানতে চান তখন তারা ভুল নাম বলেন। পরে অবশ্য তাদের আসল পরিচয় উদঘাটন করতে সক্ষম হয় প্রক্টরিয়াল বডি।

পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর জানা যায়, সম্প্রতি সিআইডি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নফাঁসে জড়িত যে ৮৭জন শিক্ষার্থীর নাম চার্জশিটে রয়েছে তার মধ্যে ওই ছাত্রীও আছেন। ফাঁস হওয়া প্রশ্নে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।

দীর্ঘ রাত পর্যন্ত ট্যুরিস্ট সোসাইটির কক্ষে নারী শিক্ষার্থী ও পুরুষ শিক্ষার্থীর অবস্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে সংগঠনটির সভাপতি আসিফ উল আলম বলেন, ‘ঘটনাটি অল্প শুনেছি। ঘটনার সত্যতা পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ট্যুরিস্ট সোসাইটির চাবি কাদের কাছে থাকে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এক্সিকিউটিভ বডির কাছে থাকে। মোট কতটি চাবি রয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২০-২৫টি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রব্বানী বলেন, ‘প্রক্টরিয়াল বডির সাহায্যে দুই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে নিজ নিজ হলে পাঠানো হয়। পরে তাদেরকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’

পিবিএ/বাখ

আরও পড়ুন...