টিনের চালায় আম পাড়তে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দগ্ধ কিশোর

পিবিএ, ঢামেক : ১৬ বছরের কিশোর আলিম। কৈশরের দুরন্ত সময় পার করছিলো সে। সারাদিন গ্রামের রাস্তাঘাট, মাঠ, খালবিল চষে বেরানো ছিলো তার বাতিক। তার এই দুরন্তপনায় পরিবার সহ অনেকই অধৈর্যও হতেন। তবে এতে আলিমের দস্যুতায় কোনো ভাটা পড়েনি। তবে কয়েকদিন আগে প্রতিবেশীর বাড়ির টিনের চালায় উঠে আম পাড়ার সময় ঘটে এক ভয়ানক ও মর্মান্তিক ঘটনা। বাড়ির চালার উপর দিয়ে ও আম গাছের নিচ দিয়ে যাওয়া উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুতের তারের সাথে মাথার সংস্পর্শে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় সে। নিমিশেই থেমে যায় তার দুরন্তপনা।
ঘটনাটি ঘটে গত সোমবার ঢাকার ধামরাই উপজেলার দেলধা গ্রামে। বর্তমানে দগ্ধ আলিম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি রয়েছে। তার মাথা, মুখমন্ডল ও গলা সহ শরীরের ৬ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
দগ্ধ আলিমের ভাই মোঃ আলআমিন জানান, গ্রামেরই ঈশাননগর দেলধা এস,কে,আই দাখিল মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে সে। ৪ ভাইবোনের মধ্য সে সবার ছোট ও আদরের।
আলআমিন জানান, ওইদিন বিকেলে প্রতিবেশী এক আত্মীয়র টিনসেড বাড়ির চালায় উঠে পাশের আম গাছ থেকে আম পারার জন্য। চালার উপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের তার দেখলেও তার নিচ দিয়ে মাথা নিচু করে যাওয়ার চেষ্টা করছিলো সে। তবে অসাবধানতা বশত সেই তারের সাথেই আলিমের মাথার সংস্পর্শ হয়। বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হয়ে টিনের চালার উপরেই ছিটকে পড়ে যায় সে। পরে আশপাশের লোকজন তাকে চালার উপর থেকে নামিয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে যায়। সেখান থেকে সাভার এনাম মেডিকেলে, ও সন্ধ্যায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
বর্তমানে আলিমকে হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের ৫ তলার গ্রীন ইউনিটের ৩ নম্বর বেডে ভর্তি রাখা হয়েছে। মাঝেমাঝে দগ্ধ ও অসহ্য ব্যাথায় কতরায় সে। তবে তখনই তাকে ঘুমের ঔষধ দিয়ে ঘুমপারানো হয়।
বার্ন ইউনিটের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, তার মাথা, মুখমন্ডল ও গলা সহ শরীরের ৬ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। দুই পায়েও কিছুটা দগ্ধ হয়েছে। তাকে গভীর পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তার মাথায় একটি অস্ত্রোপচার লাগতে পারে।
পিবিএ/এইচএ/জেডআই

আরও পড়ুন...