পিবিএ, টেকনাফ: কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মোহাম্মদ ইব্রাহিম (৩২) নামে এক যুবদল নেতা নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবী, নিহত ইব্রাহিম মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন।
শুক্রবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার শাহপরীর দ্বীপ ঝাউবন এলাকায় এ ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়।এর আগে রাত সাড়ে আটটার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
নিহত ইব্রাহিম উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ মিস্ত্রি পাড়া এলাকার নুরুল আমিন ওরফে বল্লার ছেলে। তিনি শাহপরীর দ্বীপ ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।গ্রেফতারের তিন ঘন্টার মাথায় তিনি বন্দুক যুদ্ধে নিহত হন।
তবে পুলিশের ভাষ্য মতে, মোহাম্মদ ইব্রাহিম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার তালিকাভুক্ত শীর্ষ ইয়াবা কারবারি। সে বহু মামলার পলাতক আসামি।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে এসআই দীপক বিশ্বাস সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্স নিয়ে ইব্রাহিমকে শাহপরীর দ্বীপ কোনার পাড়া এলাকা হতে গ্রেফতার করেন।
তাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গত কয়েক দিন পূর্বে মিয়ানমার হতে আনা ইয়াবার একটি বড় চালান বিক্রির পর আরও কিছু ইয়াবা শাহপরীরদ্বীপ পশ্চিম পাড়া ঝাউ বাগান সংলগ্ন বেড়ী বাঁধের পশ্চিম পার্শ্বে বালুর চরে মজুদ রয়েছে।
ইব্রাহিমের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযানে যায়। টের পেয়ে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। এতে ঘটনাস্থলে এসআই দীপক বিশ্বাস, কনস্টেবল মো. শাকিল, মো. লিটু আহত হয়। এসময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশও ৩৮ রাউন্ড পাল্টা গুলিবর্ষণ করে।
এক পর্যায়ে ইব্রাহিম গুলিবিদ্ধ হয়। গোলাগুলির শব্দ শুনে ঘটনাস্থলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসতে থাকলে অস্ত্রধারী মাদক ব্যবসায়ীরা গুলি করতে করতে দ্রুত পালিয়ে যায়।
ওসি আরও জানান, ঘটনাস্থলের আশপাশ এলাকায় ব্যাপক তল্লাশি করে আসামিদের বিক্ষিপ্তভাবে ফেলে যাওয়া ৩টি এলজি, ১১ রাউন্ড শটগানের তাজা কার্তুজ, ১৩ রাউন্ড কার্তুজের খোসা ও ৫ হাজার পিস ইয়াবা ঘটনাস্থলে জব্দ করা হয়।
গুলিবিদ্ধ ইব্রাহিমকে রাত পৌনে ১২টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে তার মৃত্যু হয়। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পিবিএ/এএইচ
